লামা উপজেলাকে বদলে দেবার কারিগর বীর বাহাদুর

NewsDetails_01

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর উশৈসিং (এমপি)
একসময় অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল বান্দরবানের সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ লামা উপজেলা। কিন্তু বর্তমান সরকারের সময়ে কোন দিক থেকে পিছিয়ে নেই এ উপজেলার একটি পৌরসভা ও সাত ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকা। আর এ উন্নয়নের পেছনে যার অক্লান্ত পরিশ্রম রয়েছে তিনি হলেন, পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এম.পি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বীর বাহাদুরের দক্ষতা ও বিচক্ষণতায় উপজেলায় এত উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন সক্ষম হয়েছে। এতে করে অনেক ধাপ এগিয়ে গেছে এ উপজেলা। বর্তমানেও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তা-ঘাট, কালভার্ট, ব্রিজ, স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র, নতুন নতুন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ, দুর্গম এলাকায় সোলার প্যানেল বিতরণ, ফায়ার সার্ভিস স্থাপন, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, ক্লাব, ছাত্রাবাস, সমবায় সমিতি ভবন নির্মাণ, রিংওয়েল, টিউবওয়েল ও ডিপ টিউবওয়েল স্থাপনসহ ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলছে। এমন কোন পাড়া, গ্রাম, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন নেই, যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। প্রতিটি স্থানেই ব্যাপক উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
জানা যায়, এক এগারো’র পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বান্দরবান থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈসিং প্রার্থী হয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করেন। ইশতেহারে ৫ম বারের মত নৌকায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করা হলে লামার প্রত্যন্ত এলাকাকে আধুনিক ধারায় উন্নয়নের জোয়ার পরিবর্তন ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ ৫ম বারের মত নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোট দিয়ে বীর বাহাদুরকে জয়যুক্ত করেন। সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পান বীর বাহাদুর। বিগত সাড়ে আট বছরে সফলতার সাথে উপজেলায় যোগাযোগ, শিক্ষা, সংস্কৃতি, পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সেবাসহ ব্যাপক উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করেন বীর বাহাদুর।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সুপার ভাইজার প্রশান্ত ভট্টাচার্য্য জানান, উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ২০০৮ থেকে চলতি অর্থ বছর পর্যন্ত ছোট বড় ব্যাপক উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হয়। তৎকালীণ উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান ও বর্তমান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুরের একান্ত প্রচেষ্টায় এসব উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। এসব কাজের মধ্যে কিছু কিছু কাজ এখনো চলমান রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ১১৮কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি বাইশপাড়ি হতে চিন্তাবর পাড়া পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের গুলিস্তান বাজার হতে কমিউনিটি সেন্টার হয়ে বনপুর বাজার পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ, সরই ইউনিয়ন পরিষদ হতে হাসনাভিটা রাস্তার মাথা পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ, আজিজনগর ইউনিয়নের বাছুরীপাড়া হতে পূর্ব চাম্বি বাজার পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ, ফাঁসিয়াখালী-ডুলহাজারা রাস্তায় বগাইছড়ি খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণ, ইয়াংছা-তীরেরডিবা-ঈদগড়-বাইশারী-নাইক্ষ্যংছড়ি-লেমুছড়ি সড়ক নির্মাণ, গজালিয়া বমুখালের ওপর ব্রিজ নির্মাণ, চিউরতলী থেকে গরু বাজার পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ, রুপসীপাড়া সড়ক হতে মেরাখোলা হয়ে ছোট বমু পাড়া পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ, ইয়াংছা বদুঝিরি হতে ইয়াংছামুখ পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ, ফাইতং মহিষখালী পাড়া হতে ধুইল্যাছড়ি হয়ে সুতাবাদি পাড়া পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ, রুপসীপাড়া বাজার হতে মং প্রু পাড়া সড়কের লামা খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণ, ইয়াংছা মেইন রোড হতে কাঁঠাল ছড়া পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ, পৌর বাস টার্মিনাল নির্মাণ, রাজবাড়ী হতে মেরাখোলা রাস্তায় মাতামুহুরী নদীর ওপর সংযোগ সড়কসহ ব্রিজ নির্মাণ, আজিজনগর চাম্বি কলেজ নির্মাণ, ৬১ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ, বিভিন্ন ইউনিয়নে জি.এফ.এস এর মাধ্যমে পানি সরবরাহ, বিভিন্ন ইউনিয়নে ২০ কিলোমিটার সড়ক নবায়ন ও সংস্কার করা হয়।
এছাড়া ১৬০০ কোটি ৩০ লক্ষ ১ হাজার টাকা ব্যয়ে জুনিয়র হাই স্কুল ভবন নির্মাণ, মাতামুহুরী কলেজের ভবন মেরামত ও রিটার্নিং ওয়াল নির্মাণ, সড়ক নির্মাণ, ছাত্রাবাস, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করণ, মসজিদ, কেয়াং, গীর্জা, মন্দির নির্মাণ ও সম্প্রসারণ, বিভিন্নস্থানে সিঁড়ি নির্মাণ, ব্রীজ নির্মাণসহ ৯৭টি উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে আরও ৫৫টি কাজ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের লামা উপজেলা সার্ভেয়ার জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, বানিয়ারছড়া-গজালিয়া সড়ক উন্নয়ন, লামা-রুপসীপাড়া সড়ক উন্নয়ন, ২৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন স্থাপন, লামামুখ হতে শীলেরতুয়া সড়ক উন্নয়ন, ফাইতং চিউরতলী সড়ক উন্নয়ন, কুমারী বাজার, সরই ও ফাইতং বাজার সেড নির্মাণ, কম্পোনিয়া হইতে পূর্ব চাম্বি ডিগ্রিখোলা সড়ক উন্নয়ন, শীলেরতুয়া সড়কে ৩৩ মিটার গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ, কোয়ান্টামে যাতায়াতের জন্য সড়কসহ ব্রীজ নির্মাণ, প্রক্রিয়াধীন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ ৮টি, এছাড়া বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসুচীর আওতায় গ্রামীণ সড়ক ও কালভার্ট নির্মাণ, অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ছোট ছোট ব্রীজ কালভার্ট নির্মাণ করা হয়।
তাছাড়া বিদ্যুতায়ন করে অন্ধকারচ্ছন্ন লামা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি সরই, রুপসীপাড়া ও ফাঁসিয়াখালীসহ বিদ্যুতহীন গ্রামগুলোকে আলোকিত করেছে, প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ তলা বিশিষ্ট উপজেলা পরিষদ ভবন নির্মাণ (প্রস্তাবিত), দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ফায়ার সার্ভিস ভবন নির্মাণ, শিক্ষা ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষা লাভে মাতামুহুরী ডিগ্রি কলেজকে সরকারী করণ, ৩১ শয্যা বিশিষ্ট বেডে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করণ, সরই ও ইয়াংছায় স্বাস্থ্য সেবা নির্মাণ, সরকারি কর্মকর্তাদের সুবিধার্থে একটি পূর্নাঙ্গ রেষ্ট হাউজ নির্মাণ, প্রায় শতাধিক ঝিড়িতে মৎস্য চাষের জন্য গোধা বাঁধ, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করণসহ অসংখ্য কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের মাধ্যমেও টিটিএন্ডডিসিস্থ রেষ্ট হাউজ নির্মাণসহ শত শত উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে গত অর্থ বছরে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে লামা-আলীকদম-চকরিয়া সড়ক ও গজালিয়া-ফাইতং সড়ক উন্নয়ন করা হয়েছে বলে জানান সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্মকর্তারা। লামা মাতামুহুরী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক বছরে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীর একান্ত প্রচেষ্টায় কলেজে চার তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন, তিন তলা বিশিষ্ট ছাত্রী হোস্টেলে, দুই তলা বিশিষ্ট ছাত্র হোস্টেল, কলেজ মসজিদ, শিক্ষক ডরমেটরী, বাউন্ডারী ওয়াল, শহীদ মিনার, কনফারেন্স রুম নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। সর্বশেষ শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের কথা চিন্তা করে একটি বাস উপহার দেন প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর। তার এ অবদানে কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল কৃতজ্ঞ। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া জানান, ইয়াংছা উচ্চ বিদ্যালয় ভবন, লামা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভবন, গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, রুপসীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়সহ মাদ্রাসা ভবনও নির্মিত হয়েছে প্রতিমন্ত্রীর প্রচেষ্টায়।
রুপসীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা জানান, এক সময় লামা উপজেলা সদর থেকে রুপসীপাড়া ইউনিয়ন সদরে যেতে হত পায়ে হেটে। এর কারণ মাতামুহুরী নদী ও লামা খাল পাড়ি দিতে হত। এখন আর পায়ে হেটে যেতে হয়না, মাত্র ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই গাড়িতে করেই পৌছা যায় ইউনিয়ন সদরে। স্থানীয়দের দীর্ঘ দিনের দাবীর প্রেক্ষিতে বহুল প্রত্যাশিত মাতামুহুরী নদীর লামামুখ এলাকায় একটি, লামা খালের দরদরী ইব্রাহিম লিডারপাড়া এলাকায় একটি এবং রুপসীপাড়া বাজার এলাকায় লামাখালের ওপর আরকটি সেতু নির্মান করেন প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর।
সেতু নির্মানের মাধ্যমে অনেক ধাপ এগিয়ে গেছে অত্র ইউনিয়ন। এছাড়া কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে রুপসীপাড়া পাড়া বাজার থেকে মং প্রু পাড়া পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ হয়। যার ফলে দুর্গমতা কেটে সাধারণ লোকজনের জীবনযাত্রায় আমুল পরিবর্তন হয়েছে। এ ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. ইউনুছ, আবুল হোসেন, শহীদুল ইসলাম, শাখাওয়াতুল ইসলাম জানান, ব্যাপক উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রমাণ করলেন; তিনি রুপসীপাড়া ইউনিয়ন তথা উপজেলাবাসীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন।
ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ হোসাইন মামুন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ডুলহাজারা থেকে বগাইছড়ি কমিউনিটি সেন্টার পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ, বিদ্যুতায়ন ও বগাইছড়ি খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণ করে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী পূরণ করেছেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর। এছাড়া স্কুল ভবন নির্মাণ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা নির্মাণ, যেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব হয়নি সেখানে ঘরে ঘরে বিনামূল্যে সোলার বিতরণ প্রদান করেছেন। তার এ অবদান ইউনিয়নবাসী আজীবন মনে রাখবেন।
লামা প্রেস ক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রিয়দর্শী বড়ুয়া বলেন, বীর বাহাদুর একজন সাংবাদিক বান্ধব মন্ত্রী। তার প্রচেষ্টায় লামা প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় একটি অত্যাধুনিকমানের কনফারেন্স রুম নির্মাণ করা হয়েছে। তার এ মহতি কাজের জন্য প্রেসক্লাব সদস্যরা কৃতজ্ঞ।
শিল্পনগারী আজিজনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন বলেন, স্বাধীনতার পর এত উন্নয়ন কেউ করতে পারেনি, একমাত্র বীর বাহাদুর মহোদয় করেছেন। তার একান্ত প্রচেষ্ঠায় আজিজনগরে একটি ছাত্রাবাস নির্মাণ, অত্যাধুনিকমানের হর্টিকালচার ভবন নির্মাণ, উচ্চ বিদ্যালয়টি কলেজে রুপান্তরসহ স্কুল মাদ্রাসা, সড়ক, ব্রিজ, কালভার্ট,মসজিদ, মন্দির, গীর্জাসহ ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আরো এগিয়ে যাবে লামা উপজেলা।
লামা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, যথেষ্ট উন্নয়ন করেছেন বীর বাহাদুর। তিনি ইউনিয়নবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী মাতামুহুরী নদীর ওপর রাজবাড়ী-মেরাখোলা পয়েন্টে ব্রিজ নির্মাণ করে অসাধ্যকে সাধন করেছেন। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ইউনিয়নবাসী তথা উপজেলাবাসী আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে পুণরায় নির্বাচিত করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, প্রতিটি সেক্টরেই উন্নয়ন করেছেন। এমন কোন পাড়া, গ্রাম ও ইউনিয়ন নেই, যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। মন্ত্রী মহোদয়ের আন্তরিকতা ও নিরলস পরিশ্রমের কারণে এসব সম্ভব হয়েছে। এর ফলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অপার সম্ভবনার পর্যটনস্পটগুলো দেশি-বিদেশী পর্যটকরা ও দেখারও সুযোগ পাচ্ছে। যার ফলে আগের তুলনায় অর্থনৈতিক দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে উপজেলা, প্রসার ঘটছে ব্যবসা-বাণিজ্যেরও। তাই লামাবাসী তার কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবেন আজীবন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সব্বোর্চ ভোট দিয়ে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুরের জয় নিশ্চিত করবে উপজেলাবাসী।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেন, পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এম.পি গত কয়েক বছরে উপজেলার সকল সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করেছেন।

আরও পড়ুন