বান্দরবানের লামা উপজেলায় মো. জামাল উদ্দিন (৪১) নামের এক যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ ও একটি গাদা বন্দুক এবং একই ইউনিয়ন থেকে আরও এক যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি হিমছড়ি এলাকা থেকে লাশ ও বন্দুকটি উদ্ধার করা হয়। জামাল উদ্দিন হিমছড়ি এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আজিজনগর ইউনিয়নের হিমছড়ি এলাকার কয়েকজন কাঠুরিয়া শনিবার সকাল ৯টার দিকে বনে কাঠ কাটতে গেলে পাহাড়ের পাদদেশে জামাল উদ্দিনের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে সুরতহাল শেষে লাশ ও লাশের পাশে পড়ে থাকা একটি গাদা বন্দুক উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
পারিবারিক কলহের জের ধরে জামাল উদ্দিন গাদা বন্দুকের গুলিতে আতœহত্যা করতে পারেন বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন। এ লাশ উদ্ধারের এক ঘন্টার ব্যবধানে সকাল ১০টার দিকে একই ইউনিয়ন থেকে আরও এক যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকা থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার করে পুলিশ।
কঙ্কালে জড়িয়ে থাকা লুঙ্গি ও গেঞ্জি দেখে স্থানীয়রা ধারনা করছেন, কঙ্কালটি হরিণমারার এলাকার বাসিন্দা আহমদ কবিরের ছেলে হারুণ-অর রশিদ’র। এর বেশ কয়েকদিন আগে হারুণ অর রশিদ নিখোঁজ হয়। এ ঘটনার তার স্বজনেরা লামা থানায় একটি সাধারন ডায়েরিও করেন।
পৃথক স্থান থেকে লাশ ও কঙ্কাল উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক তমেজ উদ্দিন বলেন, কঙ্গালটি নিখোঁজ হারুন অর রশিদের কিনা: তা নিশ্চিত করার জন্য ডিএন টেস্ট করা হবে। এছাড়া গুলিবিদ্ধ লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
