লামায় ১১৭১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫০৩ জনেই ফেল

NewsDetails_01

বান্দরবানের লামা উপজেলায়ও এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবারের ফলাফলে মারাত্মক বিপর্যয় হয়েছে। উপজেলার ১৪টি বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা থেকে ১১৭১জন পরীক্ষাার্থীর মধ্যে পাশ করেছে মাত্র ৬৬৭জন। ফেল করেছে ৫০৩জন পরীক্ষার্থী। মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষার পাশের হার ৬১.৮০ শতাংশ এবং মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষার পাশের হার ৯০.৫০ শতাংশ। এর মধ্যে এস.এস.সি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ১৫ জন। মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পেলেও পাশের হার ছিল বেশি। একটি বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসায় শতভাগ পরীক্ষার্থী পাশ করে। প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গুজব, বিদ্যালয় গুলোতে অব্যবস্থাপনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসবাবপত্রসহ নানান সমস্যা ও শিক্ষক সংকটকে ফলাফল বিপর্যয়ের জন্য দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট ১০২৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। এর মধ্যে ৫৩৩ জন পাশ করে, বাকি ৪৯০ জন ফেল করেছে। অপরদিকে ৪টি মাদ্রাসার ১৪৮ জন শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১৩৪ পাশ করে, বাকি ১৩জন ফেল করে। এ হিসেবে বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা মিলে ৫০৩ জন শিক্ষার্থী ফেল করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ জন, চাম্বি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ জন ও কোয়ান্টাম কসমো স্কুলে ৬ জন। উপজেলা কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও তামিরী মিল্লাত দাখিল মাদ্রাসায় শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া বলেন, এবার চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এস.এস.সি পাশের হার ৭৫.৫০ ভাগ। তারই প্রভাব পড়েছে লামা উপজেলায়। তবে তিনি প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গুজব, বিদ্যালয় গুলোতে অব্যবস্থাপনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসবাবপত্রসহ নানান সমস্যা ও শিক্ষক সংকটকে ফলাফল বিপর্যয়ের জন্য দায়ী করেন তিনি।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেন, এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আরও পড়ুন