লামায় ‘ভিয়েতনামী খাটো জাতের নারিকেল’ চাষের ওপর কৃষক প্রশিক্ষণ

NewsDetails_01

লামায় ভিয়েতনামী খাটো জাতের নারিকেল চাষের প্রশিক্ষণ শেষে হর্টিকালচার কর্তৃক প্রদানকৃত নারিকেল চারা কৃষকের হাতে তুলে দিচ্ছেন- উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নূরে আলম
বছরব্যাপী উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ‘ভিয়েতনামী খাটো জাতের নারিকেল’ চাষের ওপর কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগর হর্টিকালচার সেন্টার। শনিবার লামা পৌরসভাস্থ চাম্পাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে এ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার ৬০ জন কৃষক প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহন করেন। এতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নূরে আলম, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাশ, হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যান তত্ত্ববিধ মো. সাইফুল ইসলাম, উপ-সহকারী উদ্যান কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দিন ও হাতে কলমে এ জাতের নারিকেল চারা রোপন ও পরিচর্যা বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা দেন। এ সময় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুকুমার দেওয়ানজি, গোপন চৌধুরী ও সাংবাদিক মো. নুরুল করিম আরমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেনন।
এর আগে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে এ জাতের নারিকেল চারা রোপন ও ফলন উৎপাদনের ওপর গান এবং নাটক প্রদর্শন করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মাঝে বিনামূল্যে একটি করে নারিকেল চারা প্রদান করা হয়।
আজিজনগর হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-সহকারী উদ্যান কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, আমাদের দেশে বর্তমানে যে প্রচলিত নারিকেলের জাত রয়েছে সেগুলোর ফলন খুবই কম। গাছ প্রতি বছরে সর্বোচ্চ ৫০টি নারিকেল পাওয়া যায় এবং ফলন পেতে ৬-৭ বছর সময় লাগে। নারিকেলের ফল যাতে তাড়াতাড়ি পাওয়া যায় তাই নতুন এই ‘ভিয়েতনামী খাটো জাতের নারিকেল’ আবাদের ব্যাপারে বর্তমানে জোর দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, নতুন জাতের এই গাছকে যথাযথ পরিচর্যা করলে আড়াই থেকে তিন বছরেই ফলন আসবে। ফলনের পরিমাণ আমাদের দেশীয় জাতের তুলনায় প্রায় তিনগুন বেশি। এ জাতের প্রতি গাছ থেকে প্রতি বছর ২৫০-৩০০ নারিকেল পাওয়া সম্ভব। উন্নত এই জাতের সম্প্রসারণ করা গেলে আমাদের দেশের নারিকেল উৎপাদন তিনগুন বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন