আজ শনিবার বিকালে জেলার রোয়াংছড়ি বাজারের মাল্টিপারপাস ভবন প্রাঙ্গন থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি চহলামং মারমার সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাঃ সম্পাদক হ্লাথোয়াইহ্রী মারমা। অন্যদের মধ্যে উপজেলা অাওয়ামীগের উপদেষ্টা সদস্য উচাইনিং মারমা, আথুইমং মারমা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি শিশির তঞ্চঙ্গ্যা, পুহ্লাঅং মারমা, চহাইমং মারমা, বিশ্বনাথ তঞ্চঙ্গ্যা, যুগ্ন সাঃ সম্পাদক ধীরেন ত্রিপুরা, সাংগঠনিক সম্পাদক জনমজয় তঞ্চঙ্গ্যা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা মংশৈথুই মারমার মুক্তি দাবি করে বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে মুক্তি না দেওয়া হলে ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল- সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। মংশৈথুই মারমা রোয়াংছড়ি উপজেলায় ৪ নং নোয়াপতং ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি ও বাঘমারা ভিতর পাড়া কারবারী, তাকে গত শুক্রবার রাতে বাগমারার ভিতর পাড়ার নিজ বাসা থেকে অপহরণ করে শসস্ত্র সন্ত্রাসীরা।
গত বছরের ১৩ জুন রাতে জেলার একই উপজেলার জামছড়ির নিজ বাসা থেকে অপহৃত হন সদর উপজেলা আওয়ামীলী লীগ সদস্য মং পু মারমা। এই ঘটনার পর বান্দরবানে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ( জেএসএস) ও আওয়ামীলীগের মধ্যে চরম বিরোধ দেখা দেয়, জেলায় হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচী পালন করে জেলা আওয়ামীলীগ।
মং পু মারমাকে অপহরণে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়, এর পর থেকে জেএসএস শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে চলে যায়। ফের আওয়ামীলীগ নেতা অপহরণের ঘটনায় জেলার রাজনীতিতে জেএসএস ও আওয়ামীলীগের মধ্যে বিরোধ ফের চাঙ্গা হতে পারে এমন মত স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
