বান্দরবান সীমান্তে গুলি, প্রতিবাদ জানানোর পর মিয়ানমারের দুঃখ প্রকাশ

NewsDetails_01

মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে বাংলাদেশের দিকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। আজ শনিবার দুপুরের দিকে তুমব্রু’র ২টি পয়েন্ট দিয়ে ৮ থেকে ১০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেছে তারা। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরে মিয়ানমারের বিজিপি দুঃখপ্রকাশ করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল মনজুরুল হাসান খান বলেন, ‘মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) গুলিবর্ষণের ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিবি। প্রতিবাদে বিজিপি এজন্য ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছে। গুলির এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।’
বিজিপি’র এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সীমান্তে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে খুব শক্ত অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী। বিজিবি’র পাশাপাশি সরকারের অন্যান্য সংস্থাও সীমান্তে কাজ করছে। গত দুইদিন ধরে অসংখ্য রোহিঙ্গা প্রাণভয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল। কিন্তু বিজিবি কঠোর হাতে দমন করেছে।’
বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মঞ্জুরুল আহসান খান জানিয়েছেন,শনিবার ভোর থেকে সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা অবস্থান নিয়েছেন অনুপ্রবেশের জন্য। তবে বিজিবির কড়া প্রহরার কারণে তারা অনুপ্রবেশ করতে পারছে না। সীমান্তের নিরাপত্তায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানান বিজিবির এই অধিনায়ক।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুনধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, সীমান্তের ওপারে বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। বিজিবি সকাল থেকে সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে বলে জানান এই জনপ্রতিনিধি।
বিজিবি কর্মকর্তারা আরো জানান, গভীর রাতে গোলযোগের পর থেকে আতঙ্কিত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। তারা সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার পাশে পাহাড়ি এলাকাগুলোতে অবস্থান নিয়েছেন। তবে বিজিবির টহল জোরদার করায় তারা অনুপ্রবেশ করতে পারছেন না।
উল্লেখ্য,কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে মিয়ানমারের মংডুর নাইকাদং ও কোয়াংছিদং গ্রামে রোহিঙ্গাদের উপর গুলি বর্ষণ শুরু করে বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। রয়টার্স জানায়, এসময় ১৭ পুলিশ ও ৭৭ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের দিকে ছুটে আসছে বলে জানান সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন