বান্দরবান-রুমা সড়কে ফের ধস

NewsDetails_01

আবারও পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বান্দরবান-রুমা সড়ক। ফলে যান চলাচল বন্ধ। ছবি : কালের কণ্ঠ
আবারও পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বান্দরবান-রুমা সড়ক। এ কারণে এ পথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ চালু আরো পিছিয়ে গেল। গত মাসের পাহাড়ধসের পর থেকেই এ সড়কে সরাসরি ভারী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ওই এলাকায় থাকা দেশের সর্বোচ্চ পাহাড় তাজিন ডং (বিজয়) এবং প্রায় দুই হাজার ফুট উচ্চতার পাহাড় চূড়ায় বগালেকসহ অনেক পর্যটন স্পট দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পর্যটকরা।

ভারী বৃষ্টিপাতে গত ১৩ জুন প্রথমবার ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের ২২ কিলোমিটার পয়েন্টে পাহাড়ধসে পড়ে। এতে রাস্তাও ধসে যায়। সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের ব্যাটালিয়ন টানা ২০ দিনের প্রচেষ্টায় সড়কটিকে কিছুটা যান চলাচল উপযোগী করে তোলার পর গত চার-পাঁচ দিন মোটরসাইকেল নিয়ে অনেকেই চলেছে। কিন্তু গত বুধবার আবারও পাহাড়ধসের কবলে পড়ে সড়কের ২২-২৩ কিলোমিটার পয়েন্ট। ফলে আবারও পাহাড়ে ঢাল বেয়ে ঝুঁকি নিয়েই পার হতে হচ্ছে ওই অংশ।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে বান্দরবান-রুমা সড়কের ওই অংশে গিয়ে দেখা গেল, রুমা থেকে ছেড়ে আসা গাড়িগুলো ২২ কিলোমিটার পয়েন্টে থেমে যাচ্ছে। এখান থেকে পায়ে হেঁটে ভাঙা অংশ পার হয়ে ২৩ কিলোমিটার পয়েন্ট থেকে যাত্রীরা অন্য গাড়িতে উঠে বান্দরবান আসছে। এ ক্ষেত্রে প্রায় ২০০ মিটার পথ পায়ে হেঁটে পাড়ি দিতে তাদের এক থেকে দেড় ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে।

NewsDetails_03

একজন যাত্রী জানায়, গতকালই ভাঙা ভাঙা ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এর আগে কোনো ধরনের গণপরিবহন ছিল না বান্দরবান-রুমা সড়কে।

এদিকে প্রায় এক মাস ধরে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় রুমা এলাকার পর্যটন ব্যবসায় ধস নেমেছে। ঈদের টানা বন্ধে পর্যটকের আশায় বসেছিলেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা, কিন্তু তাঁদের মাথায় হাত।

রুমার পর্যটক গাইড মং সা চিং মারমা ও মামুন হোসেন জানান, পর্যটক না আসায় প্রায় এক মাস ধরে তাঁরা কোনো উপার্জনই করতে পারেননি।

বান্দরবান সড়ক বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মং শৈ প্রু বাপ্রু জানান, সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীনে হলেও বগালেককে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের অধীনে বান্দরবান-রুমা সড়কের সম্প্রসারণ কাজ চলছে। তিনি জানান, সড়কটি দ্রুত যান চলাচলের উপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সূত্র: কালেরকণ্ঠ

আরও পড়ুন