বান্দরবানের পূরবী চেয়ার কোচ
বান্দরবানের পূরবী চেয়ারকোচের মান আগের মত নেই, দিন দিন কমছে সেবার পরিধি। যাত্রা পথে প্রায় সময় গাড়ী গুলো নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া পাহাড়ী সড়কে গাড়ী উঠার সময়, গাড়ী সামনে না গিয়ে পিছনের দিকে চলে আসে, ফলে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার আশংখা মাথায় নিয়ে যাত্রীরা চলাচল করে।
এ ব্যাপারে নির্যাতনের শিকার জিসান জানান, নারীসহ তারা ৬জন বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে আসার জন্য পূরবীতে উঠে। প্রথমে তাদেরকে পূরবীকে বিরতিহীন বলা হলেও কিছুদূর যাওয়ার পরপর চালক ও হেলপার যাত্রী উঠানামা করছিল। এতে তারা প্রতিবাদ করলে চালক বান্দরবান ষ্টেশনে গাড়ী থামানোর সাথে সাথে গাছের লাঠি দিয়ে মারধর করতে থাকে।
বান্দরবান বাস ষ্টেশন
এভাবে আর কতদিন,জেলায় প্রতিযোগিতা মূলক পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, আমরা ওদের কাছে জিন্মি।
আরো জানা গেছে, পূরবী- পূর্বাণীর মালিকরা বান্দরবানের সড়কটি দখল করে রেখেছেন। একসময় এস আলম মিনিবাস বান্দরবান-চট্টগ্রাম সার্ভিস দিতে চেষ্টা করলে পূরবী এবং পূর্বাণীর কর্তৃপক্ষ গতিরোধ করে তাদের বিতারিত করে। পরবর্তীতে সৌদিয়া মিনিবাস প্রবেশ করলে তাদেরকেও নানা ভাবে জেলা থেকে বিতারিত করে। সর্বশেষ বিআরটিসি প্রবেশ করেও রেহাই পায়নি। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হলে বান্দরবানে পর্যটকরা ভ্রমনে আসা থেকে বিরত থাকতে পারে এমন মত অনেকের। গতবুধবারও নেপালের আটজন বিদেশী পর্যটকের সঙ্গেও দূর ব্যবহার করে পূরবী-পূর্বাণীর বাস সার্ভিসের শ্রমিকেরা। নেপালী পর্যটক ললিথ ভান্ডারী ও সিবানী বলেন,
বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে তারা মুগ্ধ কিন্তু যাবার বেলায় পূরবী বাস সার্ভিসের শ্রমিকরা টিকেটের বাহিরে প্রতিটি লেগেজের জন্য একশ টাকা করে দাবী করে।
এ ব্যাপারে বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেন,বান্দরবানে পর্যটকরা বেড়াতে আসেন কিন্তু এভাবে মারধর করা ঠিক নয়, অবশ্যই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে। একের পর এক এভাবে পর্যটকদের উপর হামলা চালালে পর্যটকের সংখ্যা কমে যাবার আশংকা করছে স্থানীয়রা। এছাড়া শুধু পর্যটকরাই নয়, পূরবী পর্বাণীর জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেতে চায় বান্দরবানবাসী।
এই রকম হয়রানি সবসময় হতে হয়। বান্দরবান তেকে চটৃগ্রাম জাইতে কিছু কন পর পর গাড়ি দাড় করিয়ে মানুষ উটায়। জাএিদেরকে জেবাবে হয়রানি করা হয় তা বলার মত নয়। এদের বিরোধদে প্রশাসন নজর দিলে ভাল হয়।
পূরবী- পূর্বাণী চেয়ার কোচকে নিষিদ্ধ করা উচিত। আর ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল গাড়ীর সুব্যবস্থা করার জন্য জেলা প্রশাসকের দৃষ্টির আকর্ষণ করার উচিত।
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের হস্তক্ষেপে যদি বান্দরবানে নতুন বাস সার্ভিস চালু হয় তাহলে বান্দরবানের মানুষ অনেক উপকৃত হবে। মানুষের দূদর্শার লাঘব হবে। মানুষ শান্তিতে যাতায়াত করতে পারবে।
Driver ke shastir aotai ana uchit.tader karonei bban er gooswill nosto hoche..
সাহসী লেখনী৷
বান্দরবান বাস সার্ভিস কিছু প্রভাবশালীর কারনে উন্নতির দ্বারপ্রান্তে যেতে পারছে না। এ ব্যাপারে মন্ত্রী মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।
Site Powered By DigitB