বান্দরবানে ষাট লক্ষ টাকা ব্যয়ে পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে নব নির্মিত গৌতম বিহারের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার সকালে বান্দরবান সদরের কালাঘাটার গৌতম বিহারে এই নব নির্মিত বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিহারের শুভ উদ্বোধন করা হয় । এসময় বৌদ্ধ মন্দির প্রাঙ্গনে আয়োজন করা হয় এক ধর্মীয় আলোচনাসভা । গৌতম বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত সংঘপ্রিয় মহাস্থবিরের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং এমপি।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চৌধুরী ,পার্বত্য জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শহীদুল আলম ,পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো:আজিজ উদ্দিন, পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন চাকমা , বান্দরবান পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ ,বিশিষ্ট ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী রাজু বড়ুয়া, গৌতম বিহারের সভাপতি অনিল কান্তি বড়ুয়া,সাধারণ সম্পাদক সুমন বড়ুয়া,সাংগঠনিক সম্পাদক টিটু বড়ুয়াসহ গৌতম বিহারের সকল দায়িকারা অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তব্য দিতে গিয়ে, প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং এমপি বলেন,বিহার নির্মাণের দায়িত্ব আমাদের প্রশাসনের সরকারের, আর এই বিহারের রক্ষা ও সুন্দরভাবে পরিচালনা করা কমিটিসহ সকলের দায়িত্ব। আমাদের সকলের মনের অহিংসা দূর করে বুদ্বের মত অহিংসা পরম ধর্ম এমন রীতিনীতিকে মেনে চলতে হবে। মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হতে সবাইকে । নামেই শুধু বৌদ্ধ না হয়ে কাজেই যাতে আমরা প্রমান করতে পারি আমরাই শান্তির ধর্ম পালন করি আর আমাদের সকলের মনে রয়েছে ভগবান বৌদ্ধের মূলমন্ত্র অহিংসা পরম ধর্ম। এসময় প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি গৌতম বিহারের উন্নয়নের জন্য নিজ তহবিল থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অনুদান প্রদানের ঘোষনা দেন।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়ানে ষাট লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই বিহারে পূজার স্থান ছাড়া ও প্রায় ত্রিশজন ছাত্রের আবাসিক হোষ্টেল সুবিধার সু-ব্যবস্থা করেছে বিহার কর্তৃপক্ষ।