নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ৬ আশ্রয় কেন্দ্রে রোহিঙ্গাদের জন্য ৬টি মেডিকেল টিম

NewsDetails_01

নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা সীমান্তের চেরারমাঠ বড়ছন খোলায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এবং নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ছয়টি রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য ৬টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,রোহিঙ্গা পরিবারের ১১ হাজার ৬০৪ জন শিশুকে নিজাস, রোবেলা টিকা ,পোলিও এবং ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। তার মধ্যে ৫-১৪ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা ৮ হাজার ৫০১ জন এবং দু’মাস থেকে ৫ বছরের মধ্যে শিশু রয়েছে ৩ হাজার ১০৩। আর সদ্য বাংলাদেশে জন্ম নেয়া ৮০ নবজাতক শিশু রয়েছে। ১০ হাজার ৯০৩ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষকে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে ৪০০ জন গর্ভবতী রোহিঙ্গা নারীও রয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ সুত্রে জানা যায়।
আশ্রিত মিয়ানমারের ফকিরা বাজারের বাসিন্দা রহিমা বেগম বলেন, আমার চতুর্থ সন্তানের জন্ম হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অত্যাচার থেকে প্রাণ বাঁচাতে স্বামী-সন্তান নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছি। এ শিশুর ভবিষ্যৎ কী হবে জানি না। নিজের দেশ মায়ানমারে ফিরে যেতে পারব কিনা, তাও জানি না।
আরো জানা গেছে, গত মাসে মিয়ানমারে জাতিগত সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে নিরাপত্তাবাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিলেও মিয়ানমার থেকে ৫ লক্ষ এর অধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহন করে। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ায় স্বামী-সন্তান নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন অনেকে নারী ও শিশু।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা নারীর সংখ্যা কম নয়। চাকঢালা, বড়ছনখোলা, সাপমারাঝিড়ি, আষাঢ়তলী, ফুলতলী আশ্রয়কেন্দ্রতে ১০ দিনের ব্যবধানে ১৩ শিশু জন্ম নিয়েছে বলে খবর পেয়েছি। প্রত্যেক নারীর আরও ৩-৪টি শিশু রয়েছে।
বান্দরবানের ভারপ্রাপ্ত জেলা সিভিল সার্জন ডা. অংসুই জানান, রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবায় ৬টি মেডিকেল টিম কাজ করছে সীমান্ত এলাকায়। যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করছি রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কিন্তু বিশাল এ জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা সত্যিই কঠিন।

আরও পড়ুন