নাইক্ষ্যংছড়ির বন্দর পরিদর্শনে যাচ্ছেন নৌ মন্ত্রী শাহাজাহান খান

NewsDetails_01

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকা।
আগামী ১০ মার্চ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন স্থল বন্দর পয়েন্ট ও ১১ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন চাকঢালা স্থল বন্দরের জায়গা পরিদর্শনের যাচ্ছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শাহাজাহান খান এমপি।
আর এ সফরকে ঘিরে ব্যবসায়ী মহলের দাবী, বন্দরের স্থান নির্ধারনে পার্বত্য এলাকার মানুষের লাভ ক্ষতি বিবেচনা করা জরুরি।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদ এর দাবী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুনধুম এলাকার নাফ নদীর অতি নিকট স্থানে টেকনাফ বন্দর অবস্থিত। একই এলাকায় ২টি বন্দর হওয়ার চেয়ে লাভজনক হবে চাকঢালা পয়েন্টে স্থল বন্দর নির্মান।
স্থল বন্দরকে ঘিরে মানুষ স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে, উপজেলার দারিদ্রতার অভিশাপ তথা বেকারত্ব দূর করার চাবিকাঠি হবে চাকঢালা। তিনি আরো বলেন, পার্বত্য এলাকার মানুষের উন্নয়ন ও অগ্রগতি থমকে দাঁড়াবে কক্সবাজার জেলার মধ্য অবস্থিত নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার শেষ ওয়ার্ড ঘুনধুম পয়েন্টে স্থল বন্দর হলে। অন্যদিকে বিভিন্ন লেখায় উঠে আসে নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা স্থলবন্দর ও ঘুমধুম স্থল বন্দর নির্মাণের পক্ষে নানা যুক্তি।
স্থানীয়রা মনে করেন, মায়ানমার এর মন্ডু জেলার আকিয়াব থেকে চাকঢালা সীমান্ত অতি নিকটে, দ্বিগুণ দুরত্ব রয়েছে ঘুমধুম এশিয়া হাইওয়ে পয়েন্ট। নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে অবস্থিত চাকঢালা সীমান্ত হতে মায়ানমার এর ফকিরা বাজার দুরত্ব মাত্র ১৫ কিঃমিঃ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ আমদানি কাঠ ও কাঠ জাতপণ্য আলীকদম হয়ে থানছি সহ শতকরা ৯০% সীমানায় বিপুল বনজ দ্রব্য আমদানি সুযোগ সৃষ্টি হয়ে দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব এবং এতে করে আগামী দশ বছর পার্বত্য জীববৈচিত্র রক্ষা করতে বৃক্ষ নিধন বন্ধ করা যাবে।
তারা আরো মনে করেন, ঘুমধুম মৌত্রী সড়কপথে স্থল বন্দর হলেও নাফ নদীতে পরিবহন সহজতর ও পানিপথে পরিবহন খরচ কম হওয়ায় ঘুমধুম বন্দরে মালামাল পরিবহন করতে আগ্রহী হবে কম। তাছাড়া এশিয়ান হাইওয়ে রেল লাইন চালু হলে সেখানে আমদানি রপ্তানি করতে কোন বাধা থাকবে না যেহেতু ১৯৫০ সাল থেকে ঘুমধুমে কাস্টম চালু। ঘুমধুম পয়েন্ট হতে আগত পণ্য পরিবহন করতে হবে ব্যস্ততম উখিয়া কক্সবাজার সড়ক পথে, এই সড়কে টেকনাফ বন্দরের বিপুল গাড়ি এবং লবন পরিবহনকারী ট্রাক চলাচলে হিমশিম খেতে হচ্ছে, একটি মাত্র সড়ক ব্যবহার ব্যস্ততম এই সড়ক জনপরিবহন হুমকির মুখে পড়তে পারে।
নাইক্ষ্যংছড়ি চাকঢালা সীমান্তে স্থল বন্দর নির্মাণ হলে উপজেলার বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ৪ টি ইউনিয়ন সোনাইছড়ি, দৌছড়ি, বাইশারী ও নাইক্ষ্যংছড়ি সদর এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিকরণ হবে। ঘুমধুম সীমান্তের বেতবুনিয়া এলাকা থেকে রামু আরকান সড়কপথ দুরত্ব প্রায় ৬৫ কিমিঃ। একি স্থান আরকান সড়ক হতে চাকঢালা দূরত্ব মাত্র ২০ কিঃ মিঃ। মায়ানমার এর দুরত্ব ও আরকান মহাসড়ক দূরত্ব হিসেব করলে শতকরা ৪০% পরিবহন ব্যয় সাশ্রয়ী হয় তাই চাকঢালা যুক্তিযুক্ত।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক মোহ উসমান গনী বলেন, চাকঢালা স্থল বন্দর হলে উপকৃত হবে পার্বত্য চট্টগ্রাম, কেননা এই স্থল বন্দরে আশানুরূপ প্রাকৃতিক সম্পদ গাছ, বাঁশ, বেত, পাথর সরবরাহ করতে পারবে মায়ানমার। এতে করে পার্বত্য চট্টগ্রামের চাহিদা মিঠাতে সক্ষম হবে এবং আগামী বিশ বছর পার্বত্য এলাকাজুঁড়ে প্রাকৃতিক সম্পদ নিধন বন্ধ করা যাবে।

আরও পড়ুন