গত ২৬ জুন ঈদুল ফিতরের দিন বান্দরবানের লামা-ফাঁসিয়াখালী সড়কের মিরিঞ্জা এলাকায় অতিরিক্ত যাত্রীবাহী একটি জিপ (নং ঢাকা-ল-২১২) ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এতে ৪ জন নিহত এবং কমপক্ষে ৪৬ জন যাত্রী আহত হন। এর মধ্যে জেলার আলীকদম উপজেলার ৮ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা শাবনুর এখনো জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। জীপ মালিক সমিতি মাত্র ৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েই দায় সেরেছেন। এরপর থেকে কেউ তার খবর নিচ্ছেনা। শাবনুর আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের পাট্টাখাইয়া গ্রামের দিনমজুর এরশাদ উল্লাহ মেয়ে। ওই দুর্ঘটনায় তার স্বামীও আহত হন। পরে তাদেরকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অর্থ সংকটের কারণে গত সপ্তাহে শাবনুরকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। স্বামী এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শাবনুরের মা হাসিনা বেগম জানান, তার মেয়ে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। মেয়ের কোমরের দুটি হাড় ভেঙ্গে গেছে। জীপ মালিক সমিতি মাত্র ৫ হাজার টাকা দিয়ে দায় সেরেছে। মেয়ের অপারেশন ও উন্নত চিকিৎসার জন্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা পেলে বাঁচতে পারে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা শাবনুর বেগমের (২২) জীবন। শাবনুর এখন অর্থ সংকটে নিজ বাড়িতে জীবন-মৃত্যুর মুখোমুখি। শাবনুরের মা হাসিনা বেগম তার মেয়ের জীবন বাঁচাতে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের অর্থসহযোগিতা কামনা করেছেন। তিনি বলেন, অর্থসহযোগিতা করলে তার মেয়েকে হয়ত বাঁচানো যাবে।
অর্থ পাঠাবেন-
স্থানীয় বিকাশ বিকাশ এজেন্ট (হাসান মাহমুদ) ০১৮৮১৫৭৮২৯৫।