জলকেলিতে মুখর বাইশারীর আদিবাসী পল্লী

NewsDetails_01

জলকেলিতে মুখর বাইশারীর আদিবাসীরা
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীর আদিবাসী পল্লীতে ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রে পোয়ে বা জলকেলি (পানির খেলা) উৎসব শনিবার থেকে শুরু হয়েছে। এ উৎসবের মধ্যে দিয়ে পুরনো বছরকে বিদায় জানানোর পাশাপাশি আদিবাসী পল্লীর বাসিন্দারা নতুন বছরকে স্বাগত জানাল।
আদিবাসীরা নতুন বছর ১৩৭৯ মগী সালের প্রথম দিনে জলকেলি উৎসব শুরু হয়েছে। জলকেলি উৎসবকে কেন্দ্র করে রাবার শিল্প নগরী বাইশারীতে আদিবাসী পল্লী গুলো সেজেছে বর্ণিল সাজে, চলছে জলকেলি উৎসব।
আদিবাসী তরুর তরুণীরা একে অপরকে পানিতে ভিজিয়ে দিয়ে পুরনো বছরের সব পাপ, গøানি, ক্লান্তি আর অসংগতি ধুয়ে-মুছে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। আদিবাসী সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ এ সামাজিক উৎসব দেখতে তাদের সম্প্রদায়ের লোকজনের পাশাপাশি এলাকাবাসীদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে আদিবাসী পল্লী।
শনিবার বিকেল থেকে নানা রঙে নিজেদের রাঙিয়ে নেচে-গেয়ে আনন্দ প্রকাশ করছে আদিবাসী তরুন-তরুনীরা। প্রচন্ড গরমেও উৎসবে ভাসছে ওই সম্প্রদায়ের বিভিন্ন বয়সী লোকজন। সবারই লক্ষ্য সাংগ্রে পোয়ে অর্থ্যাৎ জলকেলি উৎসবের মাধ্যমে পরুনো দিনের সব গøানি-দুঃখ-বেদনা ধুয়ে-মুছে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া।
বাইশারী ইউনিয়নের ধৈয়ারবাপের পাড়ার বাসিন্দা মংলা মার্মা বলেন, জলকেলি উৎসবের জন্য পুরো একটি বছর অপেক্ষায় ছিলাম, এ উৎসবের শেষ দিন সত্যি বেশ মজা করছি।
ধৈয়ারবাপের পাড়া, থুইহ্লাঅং পাড়া, মুইঅং পাড়া, ছাদুপাড়া, গোদাম পাড়া, ধাবনখালী আদিবাসী পল্লী ঘুরে দেখা যায়, তরুন-তরুনীরা নতুন ও আকর্ষনীয় পোষাক পরে সেজেগুজে পল্লীতে তৈরী করা জলকেলি উৎসবের প্যান্ডেলে গিয়ে একে অপরকে পানি ছুড়ে আনন্দ প্রকাশ করছে, পাশাপাশি চলছে নাচ-গানের আসর। ঢাকঢোল আর কাঁসার তালে তালে নেচে আনন্দ প্রকাশ করছে সবাই।
বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবু মুছা পাহাড়বার্তাকে বলেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে আদিবাসী পল্লীর জলকেলি উৎসব, এই উৎসবকে ঘিরে প্রতিটি আদিবাসী পাড়ায় ইতিমধ্যে পুলিশী টহলও জোরদার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন