ক্যনু প্রু মারমা ও থোয়াইচিং উ মারমার মুক্তির দাবী জেএসএস এর

NewsDetails_01

জেএসএস লগো
পার্বত্য চট্টগ্রামে জনসংহতি সমিতির রোয়াংছড়ি থানা কমিটির সদস্য ও নোয়াপতং ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য ক্যনু প্রু মারমা ও থোয়াইচিং উ মারমার মুক্তির দাবী করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)।
সংগঠনটি এক বিবৃতিতে জানান, ক্যনু প্রু মারমা কে তাঁর নাছালং পাড়ার বাড়ি থেকে এবং দৈনিক মুক্তবাণীর স্থানীয় সংবাদদাতা থোয়াইচিং উ মারমাকে মুরুংক্ষ্যংমুখ পাড়ার নিজ বাড়ি থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা ধরে নিয়ে যায়। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে কোন থানায় কোন অভিযোগ ছিল না। ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় থোয়াইচিং উ মারমার স্ত্রী ‘কোন অপরাধ বা অভিযোগ তাঁর স্বামীকে ধরে নেয়া হচ্ছে’ তা জিজ্ঞাসা করা হলে ‘বান্দরবানে রোয়াংছড়ি উপজেলাধীন নোয়াপতং ইউনিয়নের বাঘমারা ভিতর পাড়ার গ্রামপ্রধান মংশৈ থুই কার্বারীকে অপহরণের অভিযোগে’ তাঁকে ধরে নেয়া হচ্ছে বলে পুলিশ উত্তর দেয় বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য যে, শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে মংশৈ থুই কার্বারীকে কে বা কারা অপহরণ করে নিয়ে যায়। জানা যায় যে, অপহরণের সময় বাথোয়াই মং মারমা নামে বাঘমারা ভিতর পাড়ার এক প্রতিবেশী মংশৈ থুই কার্বারীকে তাঁর বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যান। কতদূর যাওয়ার পর ৯ জনের একদল লোক কর্তৃক অপহরণ করে নিয়ে যায়। ৯ জনের মধ্যে চারজন মুখোশ পরিহিত ছিল বলে জানা গেছে। যিনি মংশৈ থুই কার্বারীকে তাঁর বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গেছেন সেই বাথোয়াই মং মারমার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে কোন তথ্য প্রমাণ ও অভিযোগ ছাড়াই তাৎক্ষণিকভাবে জনসংহতি সমিতির সদস্য ক্যনু প্রু মারমা ও থোয়াইচিং উ মারমাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পেছনে শাসক মহলের ষড়যন্ত্র বলে জনসংহতি সমিতি মনে করে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি বান্দরবান জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ক্যবামং মারমা প্রেরিত বিবৃতিতে আরো দাবী করা হয়, জনসংহতি সমিতির সদস্যদের হয়রানির উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে মংশৈ থুই কার্বারীকে অপহরণের নাটক ঘটানো হতে পারে।
উল্লেখ্য যে, আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতা মংপু মারমাকে গত জুন মাসে কে বা কারা অপহরণের পর রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে উক্ত অপহরণের সাথে জড়িত করে জনসংহতি সমিতির ৩৮ জন সদস্যের বিরুদ্ধে এবং তৎপরবর্তী সময়ে চাঁদাবাজি, অপহরণ, সন্ত্রাস ইত্যাদি সাজানো অভিযোগে জনসংহতি সমিতির প্রায় শ’ খানেক সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং কমপক্ষে ৩০ জনকে গ্রেফতার ও দেড় শতাধিক লোককে এলাকাছাড়া করা হয়েছে।
অতএব অচিরেই আটককৃত জনসংহতি সমিতির বান্দরবান জেলা কমিটি ক্যনু প্রু মারমা ও থোয়াইচিং উ মারমাকে বিনাশর্তে মুক্তি প্রদান এবং এ ধরনের হয়রানিমূলক গ্রেফতার, মামলা দায়ের ও নিপীড়ন-নির্যাতন বন্ধ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

আরও পড়ুন