উন্নয়নের কারনে থানচিবাসীর হৃদয়ে একজন বীর বাহাদুর

NewsDetails_01

পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
একসময় অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ বিহীন উপজেলা, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া এক উপজেলার নাম ছিল বান্দরবানে থানচি উপজেলা। কিন্তু বর্তমান সরকারের সময়ে কোন দিক থেকে পিছিয়ে নেই থানচি। আর এই উন্নয়নের পেছনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাওয়া মানুষটির নাম পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১/১১এর পরবর্তীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বান্দরবান আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ বীর বাহাদুর (উশৈসিং) এমপি থানচি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করেছিলেন। ৫ম বারের মত নৌকায় ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করা হলে থানচি থেকে প্রথম উন্নয়ন শুরু করব। প্রত্যন্ত অঞ্চলকে আধুনিক ধারায় উন্নয়নের জোয়ারে পরিবর্তণ ঘটানো প্রতিশ্রুতি দেন। থানচির সর্বস্তরে জনগন ৫ম বারের মত নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বীর বহাদুর (উশৈসিং)কে জয়যুক্ত করেন। এরই ধারাবাহিকতা পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডে চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পান তিনি। বিগত সাড়ে আট বছরে সফলতা সাথে থানচির যোগাযোগ, শিক্ষা, সংস্কৃতি,পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সেবার ব্যাপক উন্নয়ন করেন।
তিন্দু ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শিগরাং ত্রিপুরা জানান, ২০টি ইউএনডিপি পরিচালিত কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয় করণ করা হয়েছে যা আমরা আশা করেনি তা প্রতিফলন হয়েছে। আগামি জাতীয় নির্বাচনের আমাদের ইউনিয়ন থেকে সব্বোর্চ ভোট দিয়ে বীর বাহাদুরের জয় নিশ্চিত করবো।
নব নির্মিত থানচি উপজেলা পরিষদ ভবন
থানচিবাসী দীর্ঘ দিনের বহুল প্রত্যাশিত সাংগু নদীর উপর সেতু নির্মান করেন। যার ফলে সাধারণ লোকজনের জীবনযাত্রায় নতুন গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে, আর থানচির ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার অপার সম্ভবনার পর্যটনস্পটগুলো দেশি-বিদেশী পর্যটকরা ও দেখার সুযোগ পাচ্ছে, যার ফলে অর্থনৈতিক দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে থানচি, প্রসার ঘটছে ব্যবসা-বাণিজ্যের।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি বিভাগের ১ম বর্ষে শিক্ষার্থী অংসিং মারমা,জাহাঙ্গির নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের ১ম বর্ষে শিক্ষার্থী উসাইনশৈ মারমা জানান, তিনি (বীর বাহাদুর) সততা, ন্যায় নীতিকে আমরা স্যালুট জানাই, তিনি থানচিবাসীকে দেওয়া উনার প্রতিশ্রুতি অক্ষরে অক্ষরে রক্ষা ও পালন করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সেনাবাহিনী কর্তৃক সাড়ে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১২ সালে ১৭ই নভেম্বর সাঙ্গু নদীর উপর নির্মিত সেতু জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুভ উদ্ভোধন করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করেন। পর্যায়ক্রমে পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ড অর্থায়নে থানচি রেমাক্রী তিন্দু ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ও ইউনিয়ন পরিষদে রেষ্ট হাউজ নির্মানে ব্যয় হয়েছিল ৫ কোটি টাকা, থানচি উচ্চ বিদ্যালয়কে সরকারি করন, এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন,থানচিতে ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে আলীকদম সড়ক নির্মাণ, ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রেমাক্রী ইউনিয়নে হাই স্কুল ভবন নির্মাণ ও স্থাপন,বলিপাড়া ইউনিয়নে জুনিয়র স্কুলকে হাই স্কুলে উন্নিতকরণ, ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আইল মারা পাড়া বৌদ্ধ মন্দিরে অনাথ শিশুদের বাসস্থান নির্মাণ, অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ছোট ছোট ব্রীজ কালভার্ট, ২ কোটি টাকা ব্যয়ে থানচি বলিপাড়া রাস্তা নির্মাণ, ১ কোটি টাকা ব্যয়ে থানচি রুমা বগালেক সংযোগ সড়ক নির্মাণ, রবি ও টেলিটক নেটওয়ার্ক স্থাপন, কোমল মতি শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক ছাত্রাবাস নির্মাণসহ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেন।
থানচি উপজেলার সাঙ্গু সেতু
থানচি হেডম্যান পাড়া নিবাসী গন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৩য় বর্ষে শিক্ষার্থী হ্লামংউ মারমা,আহ্সান উল্লা বিশ্ব বিদ্যালয়ের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের ২য় বর্ষে শিক্ষার্থী উওয়াংশৈ মারমা জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি থানচির মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন, উনার কাজের মাধ্যমে। আমরা উনার দীর্ঘায়ু ও শান্তি কামনা করি।
তাছাড়া ২০১৪ সালে নির্বাচনের পরবর্তীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদে দায়িত্ব গ্রহনের পর ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদ্যুতায়ন করে অন্ধকারচ্ছন্ন থানচিকে আলোকিত করেছে, প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ তলা বিশিষ্ট উপজেলা পরিষদ ভবন নির্মাণ, দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ফায়ার সার্ভিস ভবন নির্মাণ, শিক্ষা ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষা লাভের কলেজ স্থাপন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাস ভবন নির্মাণ, পরিত্যক্ত উপজেলা চেয়ারম্যানের ভবন পূনঃ নির্মাণ, সরকারি কর্মকর্তাদের সুবিধার্থে একটি পূর্নাঙ্গ রেষ্ট হাউজ নির্মাণ, থানচি থেকে ছাংদাক পাড়া রাস্তা নির্মাণ,সেগুম ঝিড়িতে সেতু নির্মাণ, বলিপাড়া আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বাশৈচিং হেডম্যান এর ঝিড়িতে মৎস্য চাষের জন্য পুকুর খনন, শাহজাহান পাড়া বেসরকারি প্রাথমিক ও বড় মদক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করণসহ অসংখ্য কাজ করেছেন।
থানচি উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ও সাবেক সভাপতি অংশৈথুই মারমা বলেন, তিনি দক্ষতার সাথে বান্দরবানে সাংবাদিকদের জন্য কল্যাণ তহবিল করেছেন, তিনি সাংবাদিক বান্ধব। থানচি, রুমা, রোয়াংছড়ি উপজেলা কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য প্রেস ক্লাব ভবন নির্মানে উদ্দ্যেগ নিবেন আশাকরি।
থানচি উপজেলায় শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রাবাস
অপর দিকে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের মাধ্যমে ২০১০ সালে বার্ষিক উন্নয়ন তহবিল (এডিপি) আওতায় স্থানীয় এমপি প্রতিনিধি ও সিংগাফা মৌজা হেডম্যান এর তত্ত্ববধানে ৩৬১নং থাইক্ষ্যং মৌজায় হত দরিদ্র ২০ পরিবারকে ১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিজনের ৫ একর জমিতে ফলজ রাবার বাগান প্রকল্প বাস্তবায়ন, একইভাবে ১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৬৯ নং সিংগাফা মৌজায় ২০হত দরিদ্র ২০ পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে ৫ একর জমিতে ফলজ ও রাবার বাগান প্রকল্প বাস্তবায়নে মাধ্যমে হত দরিদ্র ৪০ পরিবার ফলজ রাবার বাগানের উৎপাদিত রবার বাজার জাত করনে মাধ্যমে বর্তমানে স্বাবলম্বী পর্যায়ের চলে আসছে। ৮ লক্ষ ৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ডিম পাহাড়ে চার কক্ষ বিশিষ্ট রেষ্ট হাউজ নির্মাণ করা হয়েছে।
রেমাক্রী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মালিরাং ত্রিপুরা বলেন, স্বাধীনতা পর থানচির এত উন্নয়ন কেউ করতে পারেনি, একমাত্র বীর বাহাদুর মহোদয় করেছেন।
এদিকে থানছি উপজেলা সদর থেকে বড় মধক পর্যন্ত রাস্তা নির্মান করা হলে উপজেলাটির পর্যটন খাত থেকে সরকার ব্যাপক রাজস্ব আদায় করার পাশাপাশি, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আরো এগিয়ে যাবে থানচি উপজেলা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি হবে।
থানচি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাংসার ম্রো বলেন, তুলনা মূলকভাবে যথেষ্ট উন্নয়ন করেছেন বীর বাহাদুর(উশৈসিং) এমপি, তিনি অসাধ্য সাধন করেছে। থানচিবাসী আবার নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় অব্যাহত রাখবে।

আরও পড়ুন