পর্যটক শুন্য হয়ে পড়েছে রাঙামাটি

NewsDetails_01

পর্যটন শুন্য রাঙামাটির ঝুলন্ত ব্রীজ
পর্যটক শুন্য হয়ে পড়েছে পার্বত্য রাঙামাটি। পাহাড় ধসের কারনে এবার পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে পর্যটক নেই বললেই চলে। যেখানে প্রতি বছর ঈদ মৌসুমে হাজারো পর্যটক ভীড় করে রাঙামাটির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য বর্তমানে পর্যটক সংশ্লিষ্টরা অবসরে দিন কাটাচ্ছেন। এ মৌসুমে পর্যটক না থাকার কারনে অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন এ ব্যবসার সাথে জড়িতরা।
হ্রদ পাহাড়ের শহর রাঙামাটি। শহরের চারপাশের মনোরম কাপ্তাই হ্রদ আর ছোট বড় অসংখ্য পাহাড় এই পার্বত্য জেলাকে পরিণত করেছে মনোরম পর্যটন শহরে। কিন্তু গত ১৩ জুন পাহাড় ধসের কারনে ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি সচল না থাকায় এবার রাঙামাটি পর্যটক শুন্য হয়ে পড়েছে। রাঙামাটির নান্দনিক সৌন্দয্যে মুগ্ধ বেড়াতে আসা পর্যটকরাও আতংকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। পর্যটকরা বলছেন পাহাড় ধসের কারনে অনেক আতংকিত হয়ে এবং সড়ক বেহাল অবস্থা দেখে রাঙামাটিতে আসতে চাচ্ছেন না। রাঙামাটিতে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষন কাপ্তাই হ্রদ, পর্যটন ঝুলন্ত ব্রীজ, সুভলং ঝর্ণা, রাজ বনবিহার,সব জায়গায় পর্যটকের উপস্থিতি নেই বললে চলে।
চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটিতে ঘুরতে আসা পর্যটক আব্দুল হালিম বলেন, পাহাড়ের ধসে যে অবস্থা তা দেখেই আমরা আতংক হয়ে পড়েছি। আবারও যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
রাঙামাটি শহরের পর্যটন কমপ্লেক্স এর ও শহরের বিভিন্ন পাহাড়ী বস্ত্রের দোকান কর্মচারিরাও বেচাকেনা না থাকায় চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনযাপন করছেন। তাদের দাবী অতি শীঘ্রই পুরোপুরি সড়ক যোগাযোগ চালু করা হোক, তা নাহলে পর্যটক যে রাঙামাটি বিমুখ হচ্ছে তা সামনেও অব্যাহত থাকতে পারে।
টেক্সটাইল পন্য বিক্রয় কর্মী অনুপম ত্রিপুরা বলেন, গত বছর ঈদের মৌসুমে আমাদের দৈনিক ২০-৩০ হাজার টাকা আয় হয়েছে। কিন্তু এবার আমাদের বেচাকেনা শুন্যের কোটায়। আরেক বিক্রয়কর্মী টিনা চাকমা বলেন, আমাদের বেচাকেনা খুবই খারাপ। খুবই কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছি।
অপরদিকে,রাঙামাটি পর্যটন ঘাটের বোট মালিক আলাউদ্দিন টুটুল বলেন, এ ঈদ মৌসুমে আমাদের প্রায় ১০০টি বোট পর্যটকের অভাবে ঘাটে বসে রয়েছে। আমরা এখন অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। আমরা অর্থনৈকিভাবে চরম দুর্দিনে দিনযাপন করছি।
রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স এর ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, গতবারের তুলনায় এ বছর পর্যটক নাই এবং অগ্রিম বুকিং দেয়া রুম বাতিল করেছেন। পাহাড় ধসের কারনে পর্যটকরা রাঙামাটিতে আসছে না।
হ্রদ পাহাড়ের শহর রাঙামাটিতে সার্বিক পরিস্থিতি উন্নতি হলে পাহাড়ের পর্যটন শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে এমন আশা পর্যটন সংশ্লিষ্টদের।

আরও পড়ুন