মৌলবাদীদের টার্গেট বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদী দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা : দীপংকর তালুকদার

NewsDetails_01

রাঙামাটিতে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের বিজয়া পূর্ণমিলণী অনুষ্ঠানে সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার
বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদী দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা মৌলবাদীদের টার্গেট। বাংলাদেশ সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী সর্তকবস্থায় ছিল বিধায় এবার শারদীয়া দূর্গা উৎসব নির্বিঘ্নে পালিত হয়েছে। রাঙামাটিতে রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে মৌলবাদীরা একটি অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে। রাঙামাটিতে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত বিজয়া পূর্ণমিলণী ২০১৭ উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার এসব কথা বলেন।
রাঙামাটি জেলা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক বাদল চন্দ্র দে’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব তরুন কান্তি ঘোষ, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ত্রিদীপ কান্তি দাশ,স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, হিন্দু কল্যাণ ট্রাষ্টি’র সহকারি পরিচালক লিটন চন্দ্র সরকার।
আলোচনা সভায় দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে যখন চট্টগ্রামে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের দু-একটি বিছিন্ন ঘটনা হয়েছিল তখন পার্বত্য অঞ্চলের কিছু মানুষ এটাকে বড় করে দেখানোর চেষ্টা করেছে। বিভিন্ন ধরনের গুজব তৈরী করতে চেয়েছে। কিন্তু সরকারের চোখ কান খোলা ছিল তাই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। যার কারণে এখানে যারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাজানোর চেষ্টা করেছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা রেহিঙ্গা ইস্যুকে বলি এটি মিয়ানমারের আভ্যন্তরিন বিষয়। রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমার সরকারকেই সমাধান করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের বিচিছন্ন ঘটনার কারণে বাংলাদেশে রেহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটেছে। রেহিঙ্গা সংকট শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আলোচনার মাধ্যমে খুব শীঘ্রই সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসময় তিনি সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতি আগামী দিনে আরো বলিষ্ট ভুমিকা রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
আলোচনা সভার শুরুতে রাঙামাটি জেলা উদ্যাপন পরিষদের সদস্য সচিব স্বপন মাহাজন স্বাগত বক্তব্যে বলেন, শান্তিপূর্ণ ভাবে দেশব্যাপী দূর্গাপূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ায় সরকারের প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে ধর্ম নিরপেক্ষতা বজায় রেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আরও সচেষ্ট হয়ে কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান।
আলোচনা সভা শেষে, বিজয়া পূর্ণমিলনীর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে রাঙামাটির দশ উপজেলার বিভিন্ন মঠ মন্দিরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন