বর্তমান সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন : বৃষ কেতু চাকমা

NewsDetails_01

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেছেন, বর্তমান সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন। ফলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও যোগাযোগ’সহ বিভিন্ন স্তরে উন্নয়ন হয়েছে। তিনি বলেন, দেশ এখন নিম্নমধ্যম আয়ের থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পদার্পন করেছে। এ জেলার সার্বিক উন্নয়নে সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এর মাসিক সভায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,সরকারি সেবা জনগণের দৌঁড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে যাতে কোন ধরনের ঘাটতি না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য এবং হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আরো বলেন,সরকারের এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। তিনি বলেন, সরকার আমাদের নিয়োগ দিয়েছেন জনগণের কল্যাণের স্বার্থে। তাই পরিষদের হস্তান্তরিত বিভাগের সকল কর্মকর্তাদের সততার সাথে জনকল্যাণে স্ব স্ব দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি। জনগণের উন্নয়নের স্বার্থে পরিষদের সকল কার্যক্রমে সবসময় সকলের সহযোগিতা কামনা করেন চেয়ারম্যান।
সভায় সিভিল সার্জন ডাঃ শহীদ তালুকদার বলেন, আগামী ২৩ হতে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় পুষ্টি দিবস পালন করা হবে। এ উপলক্ষে র‌্যালি, মায়েদের রান্না প্রতিযোগিতা এবং শেষ দিন আলোচনাসভা ও পুরস্কার বিতরণ করা হবে। তিনি বলেন, জেনারেল হাসপাতাল ও বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জায়গা দখলের বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মেহেদী হাসান জানান, বর্তমানে জেলার ১০টি উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরিবার পরিকল্পনা ভবন মেরামত কাজ চলছে। আগামী জুনের মধ্যে সকল উপজেলায় সংস্কার ও মেরামতের কাজ সম্পন্ন করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনছুর আলী চৌধুরী বলেন, শূন্যপদ পূরণের লক্ষ্যে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া চেলাছড়া ও আটারকছড়া আবাসিক বিদ্যালয় পুনরায় চালু করার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া গত জুনে ভূমি ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয় ভবনসমূহ মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।
মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা বলেন, কাউখালী পোয়াপাড়া ও বিলাইছড়ি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়গুলো সরকারীকরণ করা হবে। এছাড়া নানিয়ারচর, বাঘাইছড়ি ও বরকল মডেল উচ্চ বিদ্যালয়গুলো সরকারী করণের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।

আরও পড়ুন