শান্তির পাহাড়ে আবারো অশান্তির ষড়যন্ত্র !

NewsDetails_01

রাঙামাটি সদর হাসপাতালে ব্যারিস্টার রাজা দেবাশীষ রায় ও উষাতন তালুকদার এমপি
পাহাড়ের পরিস্থিতিকে আবারো অশান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে একটি মহল। পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে সচেতন নাগরিক কমিটির ব্যানারে চলতি বছরের ২৮জানুয়ারী মহাসমাবেশেকে বানচাল করতে এ মহলটি নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে অভিযোগ উঠেছে।
সচেতন মহলের দাবি, শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে রাঙামটিতে কয়েকদিন ধরে নানা ঘটনার জন্ম দিচ্ছে স্বার্থন্বেষী স্থানীয় একটি গোষ্ঠি। সচেতন মহলটি জানায়, অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে মহাসমাবেশটিকে বানচাল করতেও বিভিন্ন কূটকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে।
রাঙামাটির নেতৃস্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, একটি গোষ্ঠি নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য অতীতের ন্যায় এবারো নোংরা খেলায় লিপ্ত হয়েছে। শান্ত পরিস্থিতি অশান্ত করতে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। গত কয়েক দিনে জেলা শহরে বিক্ষিপ্ত ঘটনার চেষ্টা করা হলেও প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের প্রতিরোধের মুখে তা ব্যর্থ হয়।
২৫জানুয়ারী রাতে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মুখে সিএনজি এবং মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে হলে দু’চালকের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে পাহাড়ী-বাঙ্গালীর সংঘর্ষে রূপ নেয়। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা আসলে দুষ্কৃতকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ।
এদিকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ কর্মকতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২৪ জানুয়ারী বুধবার চিকিৎসার জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসাপাতালে ভর্তি হওয়া বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নের অরাছড়ি গ্রামের বাসিন্দা দুই কিশোরীর চিকিৎসা কার্যক্রম শেষ হলে ২৬ জানুয়ারী শুক্রবার সকালে তারা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নেওয়ার জন্য যখন চিকিৎসকদের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পাদন করছিলেন ঐসময় হঠাৎ করেই চাকমা সার্কেল চীফ এর পত্মী রাণী ইয়েন ইয়েন এবং মানবাধিকার নেত্রী বাঞ্চিতা চাকমা হাসাপাতালে উপস্থিত হন এবং ওই দুই কিশোরীকে তাদের জিম্মায় দেওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চাপ সৃষ্টি করেন। এ সময় ওই দুই কিশোরীর মা-বাবা তাদের কন্যাদের নিজেদের জিম্মায় নেওয়ার কথা বলে এ বিষয়ে হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের সহায়তা কামনা করে। পরে খবর পেয়ে সেখানে পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে বিষয়টি বেআইনী বিধায় এ বিষয়ে বাঞ্চিতা চাকমা ও রাণী ইয়েন ইয়েনকে বুঝানোর চেষ্টা চালালে রাণী ইয়েন ইয়েনের সাথে প্রশাসনের বাকবিতন্ডা শুরু হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। ঘটনার সময় শতাধিক পাহাড়ি যুবক হাসপাতালের চারদিক ঘিরে রাখে।
এদিকে ঘটনার পর পরই শুক্রবার সন্ধ্যায় রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ছুটে যান, রাঙামাটি আসনের সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার, চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশিষ রায়, রাঙামাটি পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) প্রকাশ কান্তি চৌধুরী,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাফিউল সারোয়ার, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ নিহার রঞ্জন নন্দী, রাঙামাটি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনী আক্তার এবং মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট সুষ্মিতা চাকমা।
ঘটনার সময় হাসপাতাল এলাকায় উশৃঙ্খল যুবকের উপস্থিতি বৃদ্ধি পেতে থাকলে যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয় এবং সাধারণ মানুষের চলাচলে করাকরি আরোপ করে।

আরও পড়ুন