শহরের সৌন্দর্য্য বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে: বৃষ কেতু চাকমা

NewsDetails_01

রাঙামাটিতে জেলা উন্নয়ন কমিটির সভায় পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা
আইন প্রয়োগকারী সংশ্লিষ্ট সকলকে রাঙামাটি শহরের সৌন্দর্য্য বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের উপর গুরুত্ব আরোপ করে দেশের অন্য পর্যটন জেলার ন্যায় রাঙামাটিকেও যানজটমুক্ত রাখতে হবে। এতে শহরে যাতায়াত ও চলাচলে শৃংখলা যেমন ফিরে আসবে তেমনি মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে। আইনের প্রতি সকলকে শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহব্বান জানিয়ে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা রাঙামাটি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে এ বিষয়ে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহব্বান জানান। আজ বুধবার সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সভা কক্ষে জেলা উন্নয়ন কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, পুলিশ বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম,কে,এইচ, জাহাঙ্গীর হোসেন, পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী আবদুস সামাদ, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, কাউখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম চৌধুরী, বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শুভ মঙ্গল চাকমা’সহ জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভাগীয় প্রধান ও প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় চেয়ারম্যান আরও বলেন, জনগণ ও দেশের গণমানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নের স্বার্থে সরকার আমাদের নিয়োগ দিয়েছেন। তাই জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও তৃণমূল পর্যায়ের সকলকে নিয়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে এ জেলা তথা দেশের উন্নয়নে সবাইকে কাজ করে যেতে হবে।
সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, বর্তমানে রোহিঙ্গা সমস্যা একটি জাতীয় ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। কোন রোহিঙ্গা যাতে এ জেলায় প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহব্বান জানান তিনি ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, জনগণকে পুলিশের সহায়তা ও বিভিন্ন কর্মকান্ড সম্পর্কে অবগত করার লক্ষ্যে আগামী ২৮অক্টোবর বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও থানা পর্যায়ে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে রাঙামাটিতেও র‌্যালী এবং আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। এসকল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য তিনি সবাইকে অনুরোধ জানান।
তিন পার্বত্য জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন,খাগড়াছড়ি জেলার পাওয়ার গ্রীড উপ-কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। রাঙ্গামাটি জেলার শুকরছড়ি পাওয়ার গ্রীড উপ-কেন্দ্রটি চালুর ক্ষেত্রে বিভিন্ন যন্ত্রপাতির জন্য দরপত্র আহব্বান করা হয়েছে। নির্মাণ শেষে এই উপকেন্দ্রগুলো চালু হলে জেলার বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী বলেন, রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের রাউজান রাবার বাগান হতে রানীর হাট এলাকা পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া গত ১৩জুন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ১১৩টি স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো মেরামতের কাজ চলছে।
ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স এর কর্মকর্তা বলেন, কাউখালী ফায়ার স্টেশন ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। শীঘ্রই উদ্বোধন করা হবে। তিনি বলেন, ল্যান্ড ফায়ার স্টেশনের জন্য ঝগড়াবিল এলাকায় জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া বাঘাইছড়ি সাজেকে একটি ফায়ার স্টেশন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন এর ব্যবস্থাপক বলেন, এ বছর লেকের পানি বৃদ্ধি ও বৈরি আবহাওয়ার কারণে হ্রদে জেলেদের জাল ফেলতে সমস্যা হচ্ছে। তাই সাময়িকভাবে মাছ আহরণ কম হলেও জাক অপসারণের ফলে গত বছরের তুলনায় এবছর সার্বিকভাবে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং স্থানীয় বাজারে মাছের দাম কমেছে। তিনি আরও বলেন, এ প্রথম কাপ্তাই লেকে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন হয়েছে চট্টগ্রামের হালদা নদীর মত। আশা করা যায় এর ফলে কাপ্তাই লেকে মাছের উৎপাদন আরও বেড়ে যাবে।
মাৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট এর উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে জেলার বিভিন্ন ক্রিকে মাছের বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে। এ রোগ নিরাময়ে গবেষণা ইনিষ্টিটিউট হতে খামারিদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া পুকুর বা ক্রিকের পানির রাসায়নিক গুণাগুণ পরীক্ষা করে রোগ বালাই দমনের জন্য খামারিদের গবেষণা ইনিষ্টিটিউট এর সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন তিনি।

আরও পড়ুন