রাঙামাটিতে বিলাতী ধনিয়া পাতার বাম্পার ফলন

NewsDetails_01

রাঙামাটিতে ধনিয়া পাতার বাম্পার  ফলন
রাঙামাটিতে ধনিয়া পাতার বাম্পার ফলন
পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে এবার বিলাতী ধনিয়া পাতার বাম্পার ফলন হয়েছে। বিলাতী ধনিয়া পাতা চাষে আর্থিক লাভবান হওয়ায় দিন দিন চাষীদেরও এ চাষের আগ্রহ বাড়ছে। তবে এ বছর বিলাতী ধনিয়া পাতা চাষের ফলন ভাল হলেও কিন্তু চাষীরা অভিযোগ করেছেন নায্য মূল্য পাচ্ছেন না।
রাঙামাটি কৃষি বিভাগ জানিয়েছেন, জেলায় এ বছর ২১৫ হেক্টর জমিতে বিলাতী ধনিয়া পাতার চাষ করা হয়। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রতি হেক্টরে ৩০ থেকে ৪০মেট্রিক টন। এ বছর আবহাওয়া ভাল থাকায় এ বিলাতী ধনিয়া পাতার চাষ ভাল হয়েছে। এ বিলাতী ধনিয়ার বীজ সাধারনত নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের দিকে বপন করা হয়। জুলাই থেকে আগষ্ট মাসের দিকে বিলাতী ধনিয়া পাতা উৎপাদন করা হয়ে থাকে। বিলাতী ধনিয়া পাতা খাদ্য ছাড়াও ঔষুধী ও সুগন্ধি তৈরীতে ব্যবহার করা হয় বলে জানা গেছে।
ধনিয়া পাতা চাষী সোনাবি চাকমা বলেন,এ বছর ফসল ভাল হয়েছে কিন্তু দাম নাই। গত বছর আমরা কেজি প্রতি ৮০-৯০ টাকা করে বিক্রয় করেছি কিন্তু এবছর ৩০-৩৫ টাকার উপরে দাম নেই।
রাঙামাটি জেলার মধ্যে রাঙামাটি সদর, কাপ্তাই,রাজস্থলী ও কাউখালী উপজেলায় সবচেয়ে বেশী এ বিলাতী ধনিয়া পাতার চাষ হয়ে থাকে। এসব এলাকায় চাষীরা এ বিলাতী ধনিয়া পাতা বিক্রি করে পারিবারিক স্বচ্ছলতা মেটায়। কিন্তু এ বছর বিলাতী ধনিয়া পাতা চাষের উৎপাদন ভাল হলেও এ চাষের সাথে জড়িত চাষীরা নায্য মূল্য পাচ্ছেন না চাষীরা ।
আরেক চাষী লক্ষী বিলাস চাকমা জানান, গত বছরের তুলনায় এবছর পাতার ফলন ভাল হয়েছে কিন্তু সেরকম মূল্য পাচ্ছি না। তিনি বলেন,আগে আমরা বিক্রয় করতাম ১০০-১২০ টাকা করে এখন পাচ্ছি ৪০-৫০ টাকা।
এ প্রসঙ্গে রাঙামাটি সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শান্তি চাকমা বলেন, এবছর ব্যাপক ভাবে বিলাতী ধনিয়া চাষ হয়েছে এবং উৎপাদন ও খুব ভাল কিন্তু দামটা একটু কম।
রাঙামাটি সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আপ্রæ মারমা বলেন, বিলাতী ধনিয়া পাতা পার্বত্য জেলা সমূহের জন্য একটি অর্থকরী ফসল। চাষীরা বিলাতী ধনিয়া পাতার দাম কম পাওয়ার কারন হিসেবে মনে করি চাষীরা সংগঠিত না তাদের কোন সমিতি নাই। এখানে যারা পাইকারী ক্রেতা তারা এখান থেকে ক্রয় করে শহরাঞ্চলে নিয়ে গিয়ে ভাল দামে বিক্রয় করছে কাজেই লাভের একটি অংশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারন চাষীরা। এর চেয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ন হচ্ছে এখানে কাাঁচামাল সংরক্ষনের জন্য কোন সংরক্ষনাগার নাই। সংরক্ষনাগার থাকলে কৃষি পন্য মজুদ রেখে ভাল দামে বিক্রয় করতে পারে।
এই অর্থকরী ফসল বিলাতী ধনিয়া পাতা চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে ঋণসহ কৃষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া দরকার বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।

আরও পড়ুন