পাহাড়ে আওয়ামী লীগের প্রভাব : নিজেদের দখলে নিতে মরিয়া বিএনপি

NewsDetails_01

পাহাড়, ছোট ছোট নদী, ছড়া ও সমতল ভূমি মিলিয়ে অপরূপ সৌন্দর্য্যমন্ডিত ঢেউ খেলানো জেলা খাগড়াছড়ি। পাহাড়ি ঝর্ণা, আলুটলিা কিংবা রহস্যময় সুড়ঙ্গই নয়, বরং পুরো এ জেলাটি যেন সাজানো । অন্যদিকে নীলগিরি, নীলাচল, শৈল প্রপাত, তাজিংডং বিজয় ও ক্যামলং জলাশয়রে মত এমন অসংখ্য দর্শনীয় স্থানের জেলা বান্দরবান।
নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি আরেক পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি। দেশের একমাত্র রিকশা বিহীন শহর আর হ্রদ পরিবেষ্টিত পর্যটন এলাকা। আয়তনের দিকে থেকে র্সববৃহৎ এ জেলায় রয়েছে সাজকে ভ্যালী ও ঝুলন্ত ব্রীজের মত অসাধারণ কিছু দর্শনীয় স্থান।
২ হাজার ৬৯৯ বর্গ কি.মি আয়তনের জেলা খাগড়াছড়িতে মোট ভোটার ৩ লক্ষ ৮৬ হাজার ১শ ৯৪ জন। রাঙ্গামাটি জেলার আয়তন ৬ হাজার ১১৬ বর্গ কি.মি আর ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১১ হাজার ৭৭৪ জন। ২ লাখ ৪০ হাজার ৬৫০ ভোটারের জেলা বান্দরবানের আয়তন ৪ হাজার ৪৭৯ বর্গ কি.মি.।
পার্বত্য এই তিনটি জেলার প্রতিটিতেই মাত্র একটি করে সংসদীয় আসন। ৯১ ,৯৬ এবং ২০০৮ এর নির্বাচনে এই তিনটি আসনেই নৌকার নিরঙ্কুশ জয়। ২০০১’র নির্বাচনে খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটি আসনে বিএনপির প্রার্থীরা জয়ী হলেও বান্দরবানে জয় পায় আওয়ামী লীগ। ১৪’র নির্বাচনে খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান আসনে আওয়ামী লীগ আর রাঙ্গামাটি আসনে নির্বাচিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
পাহাড়ের এই তিন জেলাতেই বরাবরই প্রভাব আওয়ামী লীগের। জয়ের ব্যাপারে দলটি যেমন প্রত্যয়ী, তেমনি আসনগুলো নিজেদের করে নিতে মরিয়া বিএনপিও। ভোটাররা বলছেন, তাই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে আবারো জমবে আগামী নির্বাচন।

আরও পড়ুন