কীভাবে চিনবেন আসল-নকল স্যামসাং ফোনসেট

NewsDetails_01

677b95439b0a1b587f006b1d850a2a70-57e830146ea9cবাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল মোবাইল ফোনসেটে সয়লাব। এসব হ্যান্ডসেট কিনে প্রতারিত হন ক্রেতারা। একটু সচেতন হলেই নকল হ্যান্ডসেট এড়িয়ে কেনা সম্ভব আসল হ্যান্ডসেট। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মধ্যে স্যামসাং হ্যান্ডসেটের চাহিদা রয়েছে। সে কারণে স্যামসাং-এর নামে অনেক স্মার্টফোন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, যেগুলো প্রকৃত স্যামসাং ফোনসেট নয়। গ্রাহকদের পক্ষে বাজারে নকলের ভরাডুবিতে আসল-নকল চেনাটাই বেশ মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসল স্যামসাং-এর দাম নিয়ে নকল হ্যান্ডসেট কিনে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন।
স্যামসাং বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার স্যাংওয়ান ইউন বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, খোলা বাজার বা লোকাল দোকান থেকে হ্যান্ডসেট কিনলে এমন প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তবে স্যামসাং শোরুম থেকে ফোনসেট কিনলে হ্যান্ডসেট নিয়ে প্রতারিত হওয়ার সুযোগ নেই। তবুও আরও বেশি সতর্কতার জন্য স্যামসাং-এর আসল হ্যান্ডসেট চেনার উপায় জানা উচিত।

স্যামসাং-এর আসল হ্যান্ডসেট চেনার কিছু উপায়
আসল-নকল বোঝার জন্য আপনাকে স্যামসাং-এর আসল ফোনসেট সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। এ ধারণা আপনি আপনার বন্ধু কিংবা পরিচিত কারও মোবাইল ফোনসেট দেখে নিতে পারেন। তবে যে পার্থক্যগুলো আপনার চোখে পড়বে, তার মধ্যে একটি হচ্ছে, নকল হ্যান্ডসেটের ডিসপ্লে খুবই নিম্নমানের হয়। ডিসপ্লের ওপর টাচ করলে সেটটি আসল ফোনসেটের মতো রেসপন্স করবে না। অনেকটা ধীর গতিতে কাজ করে। টাচ ফাংশনটা ঠিকমতো কাজ করে না। নকল সেটের বডি থেকে স্ক্রিনের দূরত্ব বেশি থাকে, যে কারণে স্ক্রিন এবং বডির মধ্যে ফাঁকা জায়গা দেখা যায়। আসল সেটে এই ফাঁকা খুব কম থাকে, অ্যাডজাস্টেড থাকে। আসল হ্যান্ডসেটের ব্রাইটনেস (উজ্জ্বলতা) অনেক বেশি থাকে।

NewsDetails_03

অন্যদিকে, নকল হ্যান্ডসেট যখন ভাইব্রেশন করবে, তার শব্দ অনেকটা ফাটা ফাটা শোনাবে। নকল হ্যান্ডসেটের সব সেন্সর আসলের মতো কাজ করে না। আপনি যদি আসল হ্যান্ডসেটের হোম বাটন ভালো করে লক্ষ করে থাকেন, তাহলে দেখা যায়, নকল সেটের হোম বাটন আসলের মতো হবে না। স্যামসাং-এর লোগোটি মসৃণ এবং সমান্তরাল থাকে না। আসল হ্যান্ডসেটে লোগোটি বেশ পাকাপোক্তভাবে থাকে। নকল ফোনে স্যামসাং-এর লোগোতে নখ বা অন্য কিছু দিয়ে আঁচড় কাটলে সেটি উঠে যায়। নকল হ্যান্ডসেটে আপনি হোম, পাওয়ার এবং ভলিউম বাটনগুলোর দূরত্ব আসল হ্যান্ডসেটের মতো কাছাকাছি পাবেন না। আসল হ্যান্ডসেট আর নকল সেটের ব্যাটারি ক্যাপাসিটি সমান হয় না। নকল হ্যান্ডসেটে আপনি গেম খেলতে চাইলে তার পারফরমেন্স আসল হ্যান্ডসেটের মতো হবে না। গেম খেলার সময় বারবার থেমে যেতে চায়। আর নকল হ্যান্ডসেটের ক্যামেরা দেখলেই বোঝা যায়, সেটি আসল না নকল। নিজেই বুঝবেন আসল-নকল।

আসল স্যামসাং হ্যান্ডসেটে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফাংশন আছে। তাহলো, ফোনসেটটিতে *#০*# চাপুন। ফোন আসল হলে সঙ্গে সঙ্গে পর্দায় এলসিডি টেস্ট দেখা যাবে। নকল সেটে এটি কখনোই আসবে না। স্যামসাং-এর আসল ফোনসেটে *#১২৩৪# চাপলে ভার্সন এপি, সিপি ও সিএসসি সিরিয়াল নম্বর এবং *# ০২২৮# দিয়ে ব্যাটারি স্ট্যাটাস দেখা যাবে। নকল ফোনে এসব ‘কোড’ কাজ করে না।
এছাড়াও স্যামসাং কর্তৃক হ্যান্ডসেটের নির্ধারিত ইন্টার্নাল মেমোরি নকল হ্যান্ডসেটে আলাদা হয়। বাংলাদেশে এই প্রথম স্যামসাং-এর মোবাইল ফোন ব্যাটারিতে দিচ্ছে এক বছরের ওয়ারেন্টি, যা নকল হ্যান্ডসেটে সম্ভব নয়। বাংলাদেশে এই প্রথম স্যামসাং এস৭ এজ হ্যান্ডসেটে দিচ্ছে কনসিয়ার্জ সার্ভিস। ডিসপ্লে রিপ্লেসমেন্টের ক্ষেত্রে স্যামসাং দিচ্ছে ৫০% মূল্য ছাড়ের সুবিধা, যা নকল হ্যান্ডসেটে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আর স্যামসাং হ্যান্ডসেটে সহজ ও দ্রুত বিক্রয়কালীন ও বিক্রয়োত্তর সেবা থাকে। সূত্র : বাংলাট্রিিবউন

আরও পড়ুন