সৈয়দ আবুল হোসেনের জয়

NewsDetails_01

ঘুষ-দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে ছয় বছর আগে পদ্মা সেতু প্রকল্পের ঋণচুক্তি বাতিল করেছিল বিশ্বব্যাংক। অথচ সেই অভিযোগ ছিল কেবলই গালগল্প। ওই অভিযোগ উত্থাপনের পর ১০ ফেব্রুয়ারি (২০১৭) কানাডার এক আদালতের রায়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে কাজ পেতে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ঘুষ সাধার অভিযোগ থেকে কানাডার মন্ট্রিয়লভিত্তিক প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের সাবেক তিন কর্মকর্তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের (আরসিএমপি) দায়ের করা মামলায় অন্টারিওর একটি আদালত ওই রায় দিয়েছেন। আদালতের রায়ে এখন বলা হয়েছে, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি হয়নি। বিশ্বব্যাংকের তোলা ঘুষ লেনদেনের যড়যন্ত্রের অভিযোগ শুধুই গালগল্প। এর আগে ২০১৪ সালে বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) দুই দফা অনুসন্ধান করে ওই অভিযোগের সত্যতা পায়নি।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির যড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছিল। অভিযোগে বলা হয়েছিল, তখনকার যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সেতু বিভাগের সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা এবং পদ্মা সেতু প্রকল্প পরিচালক রফিকুল ইসলাম পরামর্শকের কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে এসএনসি-লাভালিনের কাছে ১০ শতাংশ অর্থ কমিশন চেয়েছিলেন। প্রকল্পে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ ছিল চার কোটি ৭০ লাখ ডলার।
পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে বিশ্বব্যাংক অভিযোগ তোলার পর কানাডার আদালতেও নাকচ হয়ে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এই মিথ্যা তৈরি করেছে বিশ্বব্যাংক। পুরো উপাখ্যান চলাকালে আমি তাaছিলেন।’
কানাডার আদালতের রায়ের সংবাদ শোনার পর প্রতিক্রিয়ায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন বলেছেন, ‘কানাডার আদালতের এই রায় প্রমাণ করে, পদ্মা সেতু নিয়ে আমাকে জড়িয়ে বিশ্বব্যাংক যে অভিযোগ করেছে তা সর্বৈব মিথ্যা। বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের তৎকালীন প্রতিনিধি গোল্ড স্টেইন এবং এ দেশের কতিপয় পত্রিকার অসত্য রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বব্যাংক যে কাল্পনিক অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে দাঁড় করেছিল তা ছিল শুধু মিথ্যা নয়, ষড়যন্ত্রমূলক। আমি বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশি কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার। এ ষড়যন্ত্র আমার দীর্ঘদিনের অর্জিত সুনাম, মর্যাদা নষ্ট করে দিয়েছে। সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পথকেও বাধাগ্রস্ত করেছে। আমাকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করা হয়েছে।’ সৈয়দ আবুল হোসেন আরো বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের তৎকালীন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে চীনে এক আন্তর্জাতিক ফোরামে আমার সাক্ষাৎ হয়। তিনি তখন বলেছিলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি পদ্মা সেতু ও আপনি ষড়যন্ত্রের শিকার। বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও বিশিষ্ট কতিপয় লোকের কথায় প্রভাবিত হয়েছেন। এ জন্য আমি অনুতপ্ত।’
ছয় বছর আগে সৈয়দ আবুল হোসেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করে। সেদিন দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য মন্ত্রীর ওই প্রচেষ্টা সত্যিই অভিনন্দনযোগ্য ছিল। দেশের স্বার্থে কোন ব্যক্তি বিশেষের পছন্দের লোক হয়ে বেশি দিন ক্ষমতায় না থেকে জনগণের কাছে ফিরে যাওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ আবুল হোসেন তা দেখিয়ে দিয়েছিলেন।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংক অভিযোগ তোলার পর থেকে দুর্নীতির অভিযোগ নাকচ করেন তখনকার যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন। পদ্মা সেতুতে পরামর্শক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এই অবকাঠামো প্রকল্পে ১২০ কোটি ডলারের ঋণ স্থগিত করে বিশ্বব্যাংক। তারপর প্রকল্পে ঋণচুক্তি বাতিল করে এই দাতা সংস্থা। পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর ১০ মাসের টানাপড়েন শেষে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন সৈয়দ আবুল হোসেন। পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের জট খুলতেই যে সৈয়দ আবুল হোসেনকে বিদায় নিতে হয়েছে সে ইঙ্গিত দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতও। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, বিশ্বব্যাংক যে অভিযোগের ভিত্তিতে পদ্মা সেতুতে ঋণচুক্তি বাতিল করেছিল তা সাধারণত সচরাচর ঘটে না। সৈয়দ আবুল হোসেন মন্ত্রী পদ ছাড়ায় এবং একজন ‘উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা’ ছুটিতে যাওয়ায় বিশ্বব্যাংক আবার পদ্মা সেতু প্রকল্পে ফিরে আসবে বলে আশা প্রকাশ করে মুহিত আরো বলেন, আমরা তাদের সব শর্ত মেনে নিয়েছি। উই আর ট্র্যাক টু অ্যাকোমোডেট অল। এই পরিস্থিতিতে আমি আশাবাদী যে, বিষয়গুলো বিবেচনা করে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে। সরকারি দায়িত্ব থেকে এই দুজনের সরে যাওয়ায় বিশ্বব্যাংকের সব শর্ত পূরণ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী। অর্থাৎ বিশ্ব ব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধির চারটি শর্তের মধ্যে চতুর্থটি মেনে নেওয়া হয়েছে, বলেন অর্থমন্ত্রী। শর্তটি ছিল, তদন্ত চলাকালে সরকারি দায়িত্ব পালন থেকে সরকারি ব্যক্তি অর্থাৎ আমলা ও রাজনৈতিকভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের ছুটিতে দেয়া। উপরন্তু দুর্নীতি প্রচেষ্টার সুরাহা না হলে এডিবিসহ অন্য দাতারা অর্থায়নে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না জানিয়ে দেবার পর সরকারের হাতে আর বিকল্প ছিল না। আবার বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে দেশে মধ্যে প্রায় ৩৪টি প্রকল্প চলমান থাকায় তার ভবিষ্যৎ চিন্তা করতে হয়েছে। আমাদের দেশের যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে বিশ্বব্যাংকের অবদানকে অস্বীকার করার উপায় নেই।
আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতি প্রচেষ্টার যথেষ্ট প্রমাণ থাকার পরেও বারবার সরকার কর্তৃক সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান এবং পদত্যাগ না করার ফলে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক অর্থায়নের ব্যাপারে জটিলতা বেড়েছিল। দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত এই সাবেক মন্ত্রীকে আগে সরালেই দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হতো বলে অনেকেই মনে করেন। কিন্তু তিনি যে বলির পাঁঠা হয়েছিলেন? এটা এখন পরিস্কার। অবশেষে কি প্রমাণ হলো? দুর্নীতি নাকি সরকারের সদিচ্ছা? দুদক থেকেও তাঁর দুর্নীতির বিষয়ে কোন তথ্য প্রমাণ হাজির করা সম্ভব হয়নি। এক্ষেত্রে তিনি ছিলেন নির্দোষী।
সৈয়দ আবুল হোসেন একটি পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘পদ্মা সেতুর বিষয়ে তদন্ত চলছে। এ অবস্থায় আমি সরকারি দায়িত্ব পালন করতে চাই না।’ এটি তাঁর শুভ বুদ্ধির পরিচয় ছিল। এর আগে তিনি সংবাদপত্রে প্রকাশিত তাঁর খোলা চিঠিতে বৃহত্তর স্বার্থে পদত্যাগের আভাস দিয়েছিলেন। অনেকেই মনে করেছিলেন তাঁর পদত্যাগ পদ্মাসেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকসহ দাতাগোষ্ঠীর অর্থায়ন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। আমাদের মতে, নিজস্ব অর্থায়ন যেমন যৌক্তিক তেমনি দাতাগোষ্ঠীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখাও দরকার। অবশ্য তখন সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করাসহ বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতি নিয়ে বিস্তর কথা বলা হয়ে গেছে। বিকল্প দাতাদের অর্থায়ন, বাজার খরচ বাঁচিয়ে নিজেদের টাকায়, মানুষের অনুদানে ইত্যাদি নানা পন্থায় সেতু বানানোর প্রচেষ্টার কথা বলা হয়েছিল। একঅর্থে এসবই আমাদের দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদের উন্মোচনের দৃষ্টান্ত ছিল। রাজনীতিবিদরা যে কোন চ্যালেঞ্জ গ্রহণে সক্ষম এসব তারও উদাহরণ। এটা সত্য যেখানে বিশ্বব্যাংকের মতো দাতা সংস্থা পদ্মা সেতুর মতো এত বড় একটা প্রকল্পে জড়িত সেখানে শুধুমাত্র ব্যক্তি আবুল হোসেন একা দুর্নীতি প্রচেষ্টার দায়ে অভিযুক্ত হতে পারেন না। এখন প্রমাণও হলো তিনি নির্দোষ।
আমাদের নিশ্চয় মনে আছে, তার আগে বিএনপি-জামাত জোট আমলে কি ঘটেছিল সে সব তথ্য জানা দরকার। সেসময় প্রতিটি বড় বড় দুর্নীতি হয়েছিল রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায়। আওয়ামী লীগের আমলে সে অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) স্বাধীন। এজন্য সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়াই অনিয়ম বা দুর্নীতির রহস্য উদ্ঘাটন করছে দুদক। এ কারণে আবুল হোসেনের ঘটনা নিয়ে ভাবার কোন কারণ ছিল না যে, আমাদের দেশ দুর্নীতিবাজে ভরে গেছে।
একথা সকলে একবাক্যে মেনে নিতে বাধ্য যে, ৯ জানুয়ারি ২০০৯ থেকে ৫ ডিসেম্বর ২০১১ পর্যন্ত আবুল হোসেনের যোগাযোগ মন্ত্রীত্বের প্রায় তিন বছরে পদ্মা সেতুর প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। এ সময়ে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে পদ্মা সেতুর ভূমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনসহ প্রস্তুতি কাজ, মূল সেতুর প্রাক-যোগ্য দরদাতা নির্বাচন, নির্মাণ তদারকি পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়াসহ যাবতীয় কাজ সমাপ্ত হয়। এক্ষেত্রে সরকারের নিয়ম-কানুন, ক্রয়নীতি, বিধি, বিশ্বব্যাংক ও দাতা সংস্থাদের গাইডলাইন-এর আলোকে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং ভূমি অধিগ্রহণ ব্যতীত প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিশ্বব্যাংকের সম্মতির পর পরবর্তী কার্যক্রম গৃহীত হয়েছিল। প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভূমি অধিগ্রহণসহ পুনর্বাসন কাজ সততা ও দ্রুততার সাথে সম্পাদন করা হয়। সততা ও দ্রুততার জন্য দাতা সংস্থা এ কাজের ভূয়সী প্রশংসাও করেছিল।
তখন খোলা চিঠিতে আবুল হোসেন চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লিখেছিলেন, ‘পৃথিবীতে এমন কোন ব্যক্তি নেই, যে সাক্ষ্য দিতে পারে আমি কারো কাছে টাকা চেয়েছি এবং হক-হালাল পথ ছাড়া অন্য কোনভাবে অর্থ উপার্জন করেছি।’ এটা ঠিক তিনি নিজের নির্বাচনী এলাকায় একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। শিক্ষা বিস্তারে তাঁর অবদান সকলে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে থাকেন। জনগণ ও দেশবাসীর প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা প্রশ্নাতীত। এজন্যই তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছিলেন, ‘সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।… পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা, সততা, জবাবদিহিতা ও ইন্টিগ্রিটি শতকরা ১০০ভাগ নিশ্চিত করা হয়েছে। আমি দুদককে বিশেষভাবে অনুরোধ করবো, পদ্মা সেতুর মূল কাজের ন্যায় বিশ্বব্যাংকের অভিযোগকৃত নির্মাণ তদারকি পরামর্শক নিয়োগ কার্যক্রম নিয়েও যেন দুদক নিরপেক্ষভাবে, সুষ্ঠুভাবে, পক্ষপাতবিহীনভাবে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করে এবং তদন্তের ফলাফল দেশবাসীকে অবহিত করে।’ এটা ছিল তাঁর চ্যালেঞ্জ; এটা তাঁর নৈতিক শক্তির পরিচয়। তিনি জনগণের কাছে নিজেকে উন্মোচন করেছিলেন এবং সৎ ও সততার জয় ঘোষণায় সোচ্চার হয়েছিলেন।
ছয় বছর আগে আবুল হোসেনের পদত্যাগে কোনো দুর্নীতিই প্রমাণ হয়নি। আসলে সৈয়দ আবুল হোসেন তখন ফ্যাক্টর ছিলেন না; কোন এক অজানা কারণে দেশ-বিদেশের ষড়যন্ত্রের জালে আটকা পড়ে তখনকার মহাজোট সরকার। আর সেই পরিস্থিতি থেকে বর্তমান সরকার এগিয়ে গেছে বহুদূর। ষড়যন্ত্রের জাল ভেঙে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সরকারের জন্য কঠিন হলেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসম্ভবকে সম্ভব করা হয়েছে। সাধারণ জনগণ ভালই উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছে যে, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ আওয়ামী লীগ সরকারের শ্রেষ্ঠ অবদান।
ড. মিল্টন বিশ্বাস, অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

আরও পড়ুন