মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে বাংলাদেশে ৭১ ফুট দীর্ঘ দূর্গা

NewsDetails_01

 মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে বাংলাদেশের নোয়াখালির প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র চৌমুহনী বাজারের  মণ্ডপেই দেখা মিলবে এই সুউচ্চ প্রতিমার
মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে বাংলাদেশের নোয়াখালির প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র চৌমুহনী বাজারের মণ্ডপেই দেখা মিলবে এই সুউচ্চ প্রতিমার
এত বড়! সত্যি! গত বছর দুর্গাপুজোয় এই কথাই বাঙালির মুখে মুখে ঘুরেছে। এ বছর সেই কথা বলছেন ওপার বাংলার মানুষেরা। কারণ এবার বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে ৭১ ফুট দীর্ঘ দুর্গা! এত বড় মাপের দুর্গা বাংলাদেশবাসী এর আগে কখনও চাক্ষুষ করেননি। উদ্যোক্তাদের অন্তত তেমনটাই দাবি।

১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে প্রতি বছর নোয়াখালির প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র চৌমুহনী বাজারে দুর্গাপুজো হয়। এবার সেই মণ্ডপেই দেখা মিলবে এই সুউচ্চ প্রতিমার।বিজয়া সর্বজনীন দূর্গামন্দিরের পুজো এবার ২০ তম বর্ষে পা দিয়েছে। চৌমুহনী কলেজ রোডের এই বিশাল প্রতিমার কথা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চাউর হয়ে গিয়েছে। শুধু বাংলাদেশের হিন্দুরাই নন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষই এই প্রতিমা দেখার আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

NewsDetails_03

আয়োজক কমিটির প্রত্যাশা, এবার দূর্গা প্রতিমা দেখতে পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের মহামিলন ঘটবে বাংলাদেশে। এক সময়ের জমিদার রমেন্দ্র সাহার বাড়ির সামনের চত্বরে ৭১ ফুট উঁচু প্রতিমা ঘিরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। দিনে-রাত এক করে কাজ করে চলেছেন কারিগররা। বিশাল এই প্রতিমা নির্মাণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শরিয়তপুর জেলার প্রতিমা কারিগর অমলকৃষ্ণ পাল। গত ৪০ বছর ধরে প্রতিমা তৈরির কাজ করলেও এর আগে কখনও এত বড় প্রতিমা বানাননি বলে জানান তিনি।

অমলকৃষ্ণ পাল আরও জানান, ১৯৭৪ সালে ছাত্রজীবন থেকে তিনি প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। ১২ জন সহযোগী ও কারিগর নিয়ে গত আড়াই মাস ধরে তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুর্গা তৈরির কাজ করছেন। বিজয়া সর্বজনীন দূর্গামন্দিরের কোষাধ্যক্ষ রনি সাহা বলেন, গত বছর কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কে ৮৭ ফুট লম্বা প্রতিমা তৈরি করা হয়। আর এবার বাংলাদেশে ৭১ ফুট দীর্ঘ প্রতীমা তৈরি করা হচ্ছে। বিজয়া সর্বজনীন দূর্গামন্দিরের বরিষ্ঠ সহ-সভাপতি শান্তনু সাহা জানান, প্রতিমা তৈরির বাজেট ৩৫ লক্ষ টাকা। প্রতিমা তৈরি থেকে শুরু করে মণ্ডপ এবং আলোকসজ্জা-সহ খরচ ৫০ লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। খবর-সংবাদ প্রতিদিন।

আরও পড়ুন