পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনীতিকরা বাংলাদেশে লুটপাট চালিয়েছেন এবং বাঙালিদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন—বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এ বক্তব্যকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিলেন পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ খাত্তাক। তিনি বলেছেন, চট্টগ্রামের পাট থেকে পাওয়া রাজস্ব দিয়েই সম্ভবত ইসলামাবাদের রাস্তাঘাট বানানো হয়েছে। গত শনিবার প্রদেশের হরিপুরের গাজী ও অ্যাবোটাবাদের হাভেলিয়নে একাধিক সমাবেশে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির জন্য পাকিস্তানি রাজনীতিকদের সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি এ প্রসঙ্গ টানেন। ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা পারভেজ খাত্তাক বলেন, বাংলাদেশে আজ দ্রুতগতিতে উন্নয়ন হচ্ছে। কারণ সেখানে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন অল্পকিছু উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের মধ্যে একটি। তবে এভাবে প্রকাশ্যে শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্যকে সমর্থন করায় প্রদেশের হাজারা অঞ্চলের রাজনৈতিক নেতারা রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে খাত্তাকের বিচার দাবি করেছেন। গত রবিবার তাঁরা এ দাবি জানান।
ওই সমাবেশে খাত্তাক অভিযোগ করেন, ‘দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে রাজনীতিবিদরা পাকিস্তানের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছেন। তাঁরা জনকল্যাণমূলক কাজ করতে গিয়ে কমিশন নিয়েছেন এবং সরকারি দপ্তরের কাজে হস্তক্ষেপ করেছেন। এমনকি আমাদের শত্রু ভারতও গত ৭০ বছরে দেশের অতখানি ক্ষতি করতে পারেনি, যতটা ক্ষতি পাকিস্তানি রাজনীতিকরা নিজেরাই করেছেন।’ তিনি বলেন, স্বচ্ছতা, সুশাসন, সৎ নেতৃত্ব ও দুর্নীতি রোধই হলো জনমুখী নীতি ও প্রকৃত উন্নয়নের চাবিকাঠি। এ জন্য তদবিরের সংস্কৃতি বিলুপ্ত করা অত্যন্ত জরুরি।
খাত্তাক বলেন, ‘এএনপি (আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি) সরকার সড়ক নির্মাণের টেন্ডার বিক্রি করছে ১০ শতাংশ কমিশনে। তারা টাকা নিয়ে পুলিশ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও রাজস্ব খাতে লোকজনকে চাকরি দিয়েছে। তবে জনগণ পরিবর্তনের আশায় পিটিআইকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে। তিন বছরের মধ্যেই আমরা কাঙ্ক্ষিত সাফল্য এনেছি।’ তাঁর বিশ্বাস, পিটিআই ফের ক্ষমতায় যাবে। কারণ ৭০ বছরের ইতিহাসে আর কোনো সরকার এভাবে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেনি। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।