রাতের আঁধারে হাওয়া দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের মূল্যবান গাছ !

NewsDetails_01

খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের বেশ কয়েকটি গাছ কেটে নেওয়া হয়
পর পর দুইদিনে রাতের আঁধারে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের বেশ কয়েকটি গাছ কে বা কারা কেটে নিয়েছে। এরমধ্যে ৫টি সেগুন, ১টি মেহগনি ও একটি নিম গাছ কেটে রাতেই স্থানীয় স.মিলে চিরাই করতে নিয়ে গেছে শ্রমিকরা। শুধু তাই নয়, গাছের ক্ষত ঢাকতে বড় বড় সেগুন গাছের যাতে কোন চিহ্ন না থাকে সেজন্য মাটি থেকে মূল পর্যন্ত উপড়ে ফেলা হয়েছে। আবার কোন কোনটির গোড়ায় লতাপাতা দিয়ে ডেকে দেয়া হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের যেকোন ধরনের গাছ কাটার ক্ষেত্রে বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াও নিলাম প্রদান এবং প্রয়োজনীয় রাজস্ব পরিশোধের বিধিবিধান থাকলেও এক্ষেত্রে সেগুলির কোনই তোয়াক্কা করা হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, এই গাছ গুলো অনেক বছর আগে উপজেলা পরিষদের চার দিকে সৃজন করা ছিল। কিন্তু উপজেলা পরিষদের কমপ্লেক্স নির্মাণের দোহায় দিয়ে রাতের আঁধারে গাছগুলো দিয়ে উপজেলার দুই কর্মকর্তা নিজেদের জন্য ফার্ণিসার বানানোর কৌশলে স্থানীয় স.মিলে নিয়ে চিরাই করানো হচ্ছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের প্রাচীর ঘেঁষা গাছগুলোই কাটা হয়েছে এবং খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই গাছগুলো নিলামে দিলে বহু টাকা রাজস্ব আয় হতো সরকারের। কিন্তু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউ এন ও এবং দূযোর্গ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার (পিআইও) মৌখিক সিদ্ধান্তেই সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বন বিভাগ থেকে কোন ধরনের অনুমতি অথবা উপজেলা পরিষদের কোন নিলাম বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান এর মৌখিক সিদ্ধান্তে গাছ কাটা হয়েছে। স্থানীয় কাঠব্যবসায়ীরা জানান, যেকয়টি সেগুন গাছ কাটা হয়েছে সেগুলোর বর্তমান বাজারমূল্য কয়েক লক্ষ টাকা হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান নব কমল চাকমা নিয়ম মেনে গাছ কাটা না হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সেগুন গাছকাটা হয়নি, কাটা হয়েছে মরা কয়টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ।
দীঘিনালা উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, উপজেলা পরিষদের গাছ কাটার ক্ষেত্রে কোন ধরনের অনুমতি নেয়া হয়নি।

আরও পড়ুন