খাগড়াছড়িতে মৌসুমি ফল পরিবহণে অতিরিক্ত টোল আদায় !

NewsDetails_01

খাগড়াছড়ি জেলা ফলদ বাগান মালিক সমবায় সমিতির ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন
খাগড়াছড়িতে উৎপাদিত আমসহ অন্যান্য মৌসুমি ফল পরিবহনে অতিরিক্ত টোল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছে ফলদ বাগান মালিকরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের হলরুমে খাগড়াছড়ি জেলা ফলদ বাগান মালিক সমবায় সমিতির ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করা হয়।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সহ-সভাপতি দীপাকর চাকমা। লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলা হয়, পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ও পুলিশের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সংস্থা পৌরসভা, পার্বত্য জেলা পরিষদ ও বাজার ফান্ডের অজুহাতে খাগড়াছড়ির বাগানে উৎপাদিত আমসহ অন্যান্য ফল পরিবহনে অতিরিক্ত টোল আদায় করা হচ্ছে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি-ঢাকা সড়কের বিভিন্ন টোল আদায় কেন্দ্রে। সরকার নির্ধারিত টোলের অতিরিক্ত আদায়ের প্রতিবাদ করলে বাগান মালিক ও সংশ্লিষ্টদের সাথে দুর্ব্যবহারের করা হচ্ছে। খাগড়াছড়ির তিনটি পৌরসভা, বাজার ফান্ড ও জেলা পরিষদের টোল পয়েন্টগুলো কয়েকটি সিন্ডিকেট বিগত ৮-৯ বছর ধরে নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। তাদের কাছে খাগড়াছড়ি জেলার ব্যবসায়ীরা জিম্মি হয়ে আছে। অবিলম্বে সিন্ডিকেটগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।
সংগঠনিক সম্পাদক সমির হোসেন সুজন বলেন, সড়ক পরিবহনে আঞ্চলিক সংগঠন ও পুলিশদের চাঁদা দেয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সংস্থা পৌরসভা, বাজার ফান্ড ও জেলা পরিষদের টোল কেন্দ্রগুলোতে নির্ধারিত ফি’র বাইরে বিনা রশিদে টোল নেয়া হচ্ছে। এতে করে প্রতি কেজি আম জেলার বাইরে নিতে খরচ পড়ছে ২৫-৩০ টাকা। যার কারণে বাইরের ব্যবসায়ীরা খাগড়াছড়িতে ব্যবসায় করতে অনীহা দেখাচ্ছে। এতে করে জেলার ২৫০০ বৃহৎ ও ক্ষুদ্র বাগানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাগান মালিক সমিতির উপদেষ্টা শাহাজ উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক নিহার বিন্দু চাকমাসহ ভুক্তভোগী বাগান মালিকরা।
অভিযোগের ব্যাপারে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী জানান, পরিষদ নির্ধারিত টোলের অতিরিক্ত কেউ যদি আদায় করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে রামগড়ের সোনাইপুল টোল কেন্দ্রে অতিরিক্ত টোল আদায়ের সময় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আবুল কাশেম জানান, খাগড়াছড়িতে যেহেতু কোন কল কারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান নাই সেহেতু এখানকার অর্থনীতি কৃষির উপর নির্ভরশীল। এবছর খাগড়াছড়ির ২৭০০ হেক্টর জমিতে আ¤্রপালিসহ বিভিন্ন প্রজাতির আম চাষ হয়েছে। মুক্তবাজার অর্থনীতির মাধ্যমে যদি চাষীরা উৎপাদিত এসব ফল বিক্রী করতে পারে তাহলে খাগড়াছড়ির অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।

আরও পড়ুন