খাগড়াছড়িতে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরাতে অভিযান

NewsDetails_01

খাগড়াছড়ি সদরের শালবন এলাকায় অভিযান চালানোর সময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলিশ শরমিন
খাগড়াছড়িতে পাহাড়ের পাদদেশ ও ঝুঁকিপূর্ণস্থানে বসবাসকারীদের সরানোর কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। পাহাড় ধসের শঙ্কায় শুক্রবার সকাল থেকে জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা অভিযান চালিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসে।
খাগড়াছড়ি সদরের শালবন এলাকায় অভিযান চালানোর সময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলিশ শরমিন জানান, টানা বৃষ্টি ও প্রতি বছর বর্ষায় পাহাড় ধস হওয়ার শঙ্কা থাকায় বর্ষার শুরু থেকে খাগড়াছড়িতে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরিয়ে আনতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় জেলা সদরের কলাবাগান, ন্যান্সিবাজার, শালবন, হরিনাথ পাড়া, আঠার পরিবার এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের সরিয়ে শালবন এলাকায় জেলা প্রশাসনের আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান জানান, শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অন্তত ৩০টি পরিবারকে শালবন এলাকার আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি’র (বেলা) নেটওয়ার্ক সদস্য আবু দাউদ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, শহরের বেশ কয়েকটি স্পটে পাহাড় কেটে, পাহাড়ের পাদদেশে অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর নির্মাণ বেড়েই চললেও পাহাড় কেটে বাড়িঘর নির্মাণ বন্ধে প্রশাসন কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি। পাহাড় কাটা বন্ধে ২০১১ সালে বেলা প্রশাসনকে নোটিশ দিলেও প্রশাসন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
জেলা প্রশাসক মো: রাশেদুল ইসলাম বলেন, খাগড়াছড়ির প্রতিটি উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের সরিয়ে আনতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, পাশাপাশি পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের জিরো ট্যালেরেন্স থাকবে।

আরও পড়ুন