পানছড়ি উপজেলার লোগাং বাজার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রুপায়ন চাকমার নেতৃত্বে বুধবার সাজেক ইউনিয়নের ৪,৫,৬ ও ৯ নং ওয়ার্ডে এ চাল বিতরণ করা হয়েছে। সে সময় সাজেক ইউনিয়নের ৪,৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্যা সুশীলা চাকমা, ৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য ধনটিলা ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন।
১০কেজি চাল পেয়ে ৫নং ওয়ার্ডের শান্তি পাড়া গ্রামের মন কিরণ ত্রিপুরা ও মাজলং বাজারের আব্দুল খালেক জানান, প্রতিদিন এক বেলা পেট ভরে ভাত খেয়ে থাকতে হচ্ছে, অনেক সময় তাও জোটেনা। এই চাল দিয়ে আমাদের ৩-৪দিন ভাত খেয়ে থাকতে পারবো। তারা আরো বলেন,এ এলাকায় অধিকাংশ পরিবার খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে।
‘পাহাড়ি ছাত্র ও জন ঐক্য কল্যাণ সমিতি’র সভাপতি দীপন চাকমা বলেন,বিতরণকৃত খাদ্যশস্যগুলো গত ২ সপ্তাহ ধরে পানছড়ি উপজেলা বিভিন্ন প্রত্যস্ত অঞ্চলের দুর্গম গ্রাম থেকে ঘরে ঘরে গিয়ে সংগ্রহ করেছি। সেগুলো সাজেকবাসীর কাছে বিতরণ করতে পেরে আমরা নিজেকে ধন্য মনে করছি।
সাজেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নেলশন চাকমার বিরুদ্ধে চাল বিতরণে বাধা প্রদানের অভিযোগ করেন ‘পাহাড়ি ছাত্র ও জন ঐক্য কল্যাণ সমিতি’র সভাপতি দীপন চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক রনেল চাকমা।
তাঁরা বলেন- চেয়ারম্যান নেলষন চাকমা আমাদেরকে ধমক দিয়ে বলেছেন চাল বা খাদ্য শষ্য বিতরণ করবেন আমার কাছ থেকে অগ্রিম অনুমতি নেননি কেন? আপনারা বিতরণ করতে পারবেন না। আমার ইউনিয়নের মানুষ না খেয়ে থাকবে তাতে আপনাদের কী ? চলে যান। বিতরণ করতে পারবেন না। আগামীতে নাকি অগ্রিম অনুমোদন না নিলে চাল বা খাদ্যশস্যগুলো তারা বাসায় রেখে আসতে হবে। পরে তিনি বিতরণ করবেন। অগ্রিম অনুমোদন না নেওয়ার কারণে তিনি আমাদেরকে বাঘাইহাটতে ২ ঘন্টা আটকে রাখেন। অনেক অনুরোধের পরও আমরা অনুমোদন পেয়েছি। বিতরণ শেষে সেজন্য বাসায় পৌছলে আমাদের খুব দেরী হয়েছে।
তারা আরো বলেন, তিনি শুধু আমাদেরকে দমক দেননি। তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও তাঁর অনুমতি ছাড়া ত্রান বিতরণ না করার জন্য আমাদের সামনে ধমক দিয়েছন। তার অনুমতি ব্যাতিরেখে বিতরণ করা হলে মেম্বারদেরও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
