খাগড়াছড়িতে বৃহস্পতিবারের হরতাল ঘিরে জনমনে বিভ্রান্তি

NewsDetails_01

%e0%a6%b9%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b2-%e0%a7%a8পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন সংশোধন আইন বাতিলের দাবিতে পাঁচ বাঙালি সংগঠনগুলোর ডাকা বৃহস্পতিবারের (২০ অক্টোবর) হরতাল নিয়ে পার্বত্য খাগড়াছড়িতে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এক দিকে হরতাল প্রত্যাহারের ঘোষনা আর অন্যদিকে হরতাল পালনের ঘোষনার কারণে জনমনে এ বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে পরস্পরবিরোধী প্রচারনা।

খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র মো: রফিকুল আলম বলেন, সোমবার (১৭ অক্টোবর) রাতে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ, এবং বাজার ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বাজার ব্যবসায়ী এবং স্থানীয়দের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে হরতাল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে হরতাল প্রত্যাহারের বিষয়টি মাইকিং করে জানানো হয়েছে।

NewsDetails_03

গেল মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরের দিকে হরতাল প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা শহরে মাইকিং করেছে খাগড়াছড়ি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। হরতাল প্রত্যাহারের পরপরই পাল্টা বিবৃতি দিয়ে হরতাল বহাল আছে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভুইয়া। পুর্বঘোষিত হরতাল কর্মসূচি বহাল আছে জানিয়ে তিনি বলেন, হরতাল ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনরত পাঁচ বাঙালি সংগঠন। অন্য কেউ হরতাল প্রত্যাহারের ঘোষণা কিভাবে দিয়েছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।

প্রসঙ্গত, পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন সংশোধন আইন বাতিল ও খাগড়াছড়ি আলুটিলা বিশেষ পর্যটন জোন প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তিন পার্বত্য জেলায় (খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান) জেলায় দুই দফায় হরতালের ডাক দেয় পাঁচ বাঙ্গালী সংগঠন। প্রথম দফায় ২৪ ঘণ্টার হরতাল কর্মসুচী সফল হলেও বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের প্রবারণা পূর্ণিমার কারণে দ্বিতীয় দফার (১৬ অক্টোবর) হরতাল কর্মসূচি পিছিয়ে দিয়ে ১৯ অক্টোবর বান্দরবানে এবং ২০ অক্টোবর রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে সকাল সন্ধ্যা হরতাল কর্মসুচী ঘোষনা করা হয়।

আরও পড়ুন