খাগড়াছড়িতে নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম ইকো যাত্রী ছাউনি

NewsDetails_01

ইকো যাত্রী ছাউনি
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম ইকো যাত্রী ছাউনি। সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক আলোর ব্যাবস্থা সমৃদ্ধ যাত্রী ছাউনির ছাদে শোভা পাবে দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,খাগড়াছড়ি- চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশেই নির্মিত হচ্ছে প্রথম ইকো যাত্রী ছাউনি। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীর নকশায় এই দৃষ্টি নন্দন যাত্রী ছাউনি নির্মিত হচ্ছে। যাত্রী ছাউনিতে থাকবে বাহারী ফুল বাগান, ফুলের সৌরভ ছড়িয়ে পড়বে আশেপাশে।
যাত্রী ছাউনির নির্মান কাজের রাজমিস্ত্রী সাইফুল ইসলাম বলেন, নকশা অনুযায়ী কাজ করতে একটু কষ্ট হচ্ছে। এমন কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এই কাজ শেষ হতে পারে।
মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আহসান উদ্দীন মুরাদ বলেন, এখানকার অধিকাংশ যাত্রী ছাউনি গতানুগতিক এবং টেকসই না হওয়ার কারণে অল্প দিনেই তা ব্যবহার উপযোগী থাকে না। কয়েকদিন পরই যাত্রী ছাউনিগুলো পরিত্যক্ত হয়ে যায়। তাই এই ভিন্ন পরিকল্পনা।
তিনি আরো বলেন, চুয়েটের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি স্থানীয় প্রকৌশলীরাও এই কাজে সহযোগিতা করছেন। অর্থ সংকটের কারণে প্রাথমিকভাবে নান্দনিক নকশার একটি যাত্রী ছাউনির কাজ এগিয়ে চলছে। অর্থ বরাদ্দ পেলে স্থান নির্বাচন করে আরো চারটি ইকো যাত্রী ছাউনি বানানোর পরিকল্পনা আছে। ছাউনির দেয়ালের দুপাশে থাকবে রঙিন গ্লাস এবং দৃষ্টিনন্দন বেঞ্চ। দেয়ালের বাইরের অংশ থাকবে পাহাড়ে প্রকৃতির আদলে তৈরি দেয়ালচিত্র।
মানিকছড়ি গিরীমৈত্রী কলেজের শিক্ষার্থীরা বলেন, যাত্রী ছাউনি না থাকায় রোদ বৃষ্টিতে পথচারীদের ভোগান্তিতে পোহাতে হয়। এই ইকো যাত্রী ছাউনি নির্মাণ কাজ শেষ হলে এলাকার স্থানীয় জনগণ ও পথচারীরা উপকৃত হবে। সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকায় রাতের বেলায়ও এটি ব্যবহার করা যাবে।
এই ব্যাপারে মানিকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান ফারুক বলেন, লোকাল গভর্নেন্স সাপোর্ট প্রজেক্টের এলজিএসপি-৩ অর্থায়নে মানিকছড়ি গিরীমৈত্রী কলেজের পাশে গচ্ছাবিল এলাকায় নির্মিত হচ্ছে ইকো যাত্রা ছাউনি।

আরও পড়ুন