লামায় বিধবাকে প্রাণ নাশের হুমকি

NewsDetails_01

আদালতে মামলা করায় বান্দরবানের লামা উপজেলায় ফাতেমা বেগম নামের এক বিধবা নারীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি, হামলাসহ প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বিবাদি ও তার স্বজনেরা। উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের মসুলিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। হুমকির কারণে মামলার বাদি ও তার পরিবারের সদস্যরা চরম আতংকে দিনযাপন করছেন বলে জানা গেছে। বিবাদিদের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ওই বিধবা নারী।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ফাইতং ইউনিয়নের মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা মৃত মাহাতাব হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা বেগম ২০০৮ সালে নয়াপাড়ার বাসিন্দা মৃত ছিদ্দিক আহমদের ছেলে শামশুল আলমের কাছ থেকে ৩০৬নং ফাইতং মৌজার আর/৩৭নং হোল্ডিং মূলে চল্লিশ শতক ও মনজুর আলমের কাছ থেকে ৮০ শতক জমি ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকায় ক্রয় করেন। দীর্ঘদিন ধরে এই জমিতে বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছের বাগানসহ বসতঘর সৃজন করে ভোগ করে আসছেন। বর্তমানে জমির মূল্য বৃদ্ধি এবং সৃজিত বাগানের গাছ বড় হওয়ায় দুই বিক্রেতা বিভিন্ন সময় বিধবা ফাতেমা বেগমকে জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য নানাভাবে হুমকি প্রদান শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে পুর্বপরিকল্পিতভাবে বিক্রেতা শামশুল আলম ও মনজুর আলমের নেতৃত্বে আরও ১৫-২০ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্রসহ গাছ কাটার সরঞ্জামাদি নিয়ে বাগানের তিন ফুট বেড়ের ৪৫০টি বেলজিয়াম গাছ কেটে পাশের এফবিএম ব্রিক ফিল্ডে বিক্রি করে দেয় এবং বিভিন্ন প্রজাতির ছোট ছোট গাছ উপড়ে ফেলে। এতে প্রায় ৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। এ সময় ফাতেমা বেগম প্রতিবাদ করলে হামলাকারীরা তাকে মারধর করে এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে এবংএকটি স্বর্ণের চেইনও নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এ ঘটনায় গত ৩০ জানুয়ারী ফাতেমা বেগম উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৮জনকে বিবাদী করে একটি ফৌজদারী মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। সমনের দিন বিবাদীরা আদালতে হাজির হলে আদালতে বিচারক মনজুর আলম ও শামশুল আলমকে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে আদালত সূত্র জানিয়েছে।
মামলার বাদি বিধবা ফাতেমা বেগম বৃহস্পতিবার বিকালে লামা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের বলেন, বিক্রেতা দুই জনেই কক্সবাজারে হাজির হয়ে একটি জমি ছাফ বিক্রয় নামা দলিল সম্পাদন করে ভবিষ্যতে জমি দাবি করবেনা মর্মে বলে প্রতিশ্রতি দেন কিন্তু জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে তারা আমাকে জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলে। না দেওয়ায় তারা আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে চলেছে। এমনকি মামলা করায় বিবাদি ও বিবাদিদের স্বজনেরা এখন মামলা হামলাসহ প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। যে কোন মুহুর্তে আবারও তারা হামলা করে জান মালের ক্ষতিসাধান করতে পারে।

আরও পড়ুন