থানচিতে ধর্ষণের শিকার হলেন গৃহবধূ

NewsDetails_01

বান্দরবানের থানচি উপজেলায় এক আদিবাসী অন্ত:সত্বা গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে, ধর্ষক প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হওয়ার কারনে অসহায় পরিবারটি আইনের আশ্রয় নিতে সাহস পাচ্ছেনা, এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার থানচি সদর থেকে দুই কিলোমিটার দুরে নাইন্দারী পাড়া নিবাসী বাসিং মারমা এর কন্যা নাইন্দারী পাড়াস্থ বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখান থেকে একই এলাকায় গরু চড়াতে গেলে স্থানীয় উবাথোয়াই মারমা তার মাথায় গাছ দিয়ে আঘাত করে, পরে তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর স্থানীয়রা আহত অবস্থায় শুক্রবার রাতে থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে চিকিৎসকরা তাকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার করে। শনিবার সন্ধ্যায় তাকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। উবাথোয়াই থানচি উপজেলার একটি রাজনৈতিক দলের সভাপতি রনি মারমার আপন ভাগিনা বলে জানা গেছে।
এই ব্যাপারে ধর্ষিতার স্বামী উ অংসিং বলেন, আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে, আমরা তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি, আমরা খুব গরীব মামলা করার সাহস পাচ্ছিনা।
এদিকে ঘটনার পর ধর্ষক প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হওয়ার কারণে ঘটনাটি সামাজিক ভাবে মিমাংসা ও ধামাচাপা দেবার জন্য তৎপর হয়ে উঠে এবং ঘটনাটি মিমাংসার জন্য স্থানীয় হেডম্যান ও কারবারীকে চাপ প্রয়োগ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই ব্যাপারে নাইন্দারী পাড়া প্রধান ও সাবেক ইউপি মেম্বার চাইশৈ প্রু মারমা বলেন, ধর্ষক একজন প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য হওয়ায় আমার কাছে মিমাংসার জন্য বলেছে, আমি জরুরী চিকিৎসা দেয়ার জন্য বলেছি। ধর্ষকের আত্বীয় চিংক্য মারমা,রনি মারমা ও উবানু মারমা অনুরোধ করে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এবং ধর্ষিতার চিকিৎসা খরচ সম্পূর্ণ চালানো দায়িত্ব নিয়েছে তারা। তিনি আরো বলেন,বিষয়টিতে আমি রাজি হয়নি।
আরো জানা গেছে,ধর্ষক উবাথোয়াই মারমা জন্মসূত্রে মিয়ানমারের নাগরিক, অল্প কিছুদিন আগে স্বপরিবারে বাংলাদেশের বান্দরবানে চলে আসেন এবং থানচি হেডম্যান পাড়াতে বসবাস করে আসছেন, ঘটনার পর থেকে সে পলাতক।
থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর সাক্তার বলেন, সোর্স মারফত শুনেছি ঘটনাটি কিন্তু এজাহার না করায় কিছু বলা সম্ভব হচ্ছেনা এখন।

আরও পড়ুন