গুইমারায় ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে যুবক জেলে : আলামত নষ্টের অভিযোগে আ.লীগ নেতাকে খুঁজছে পুলিশ

NewsDetails_01

খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার পশ্চিম বড়পিলাকে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের প্রায় একমাস পর ধর্ষক আজাদ (১৯) কে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালত ধর্ষকের বক্তব্য শুনে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এই ঘটনায় বিচার ও সমঝোতার নাম করে সময় ক্ষেপনের মাধ্যমে ধর্ষণের আলামত নষ্টসহ ফৌজদারি অপরাধের বিচারের দায় নেয়ায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মফিজুল ইসলামকেও অভিযুক্ত করেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, কামাল শরীফের মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী (১৩) গত ৭ অক্টোবর পশ্চিম বড়পিলাকের একটি পরিত্যক্ত ঘরে একই গ্রামের কাউছার মিয়ার ছেলে আজাদ বিয়ের প্রলোভনে সারারাত ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ২৭ অক্টোবর আবারও ধর্ষণ করার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে মেয়ের বাবা কামাল শরিফকে জানায়।
কামাল শরিফ বিষয়টি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মফিজুল ইসলামকে জানালে তিনি বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেয়ার নামে নানা টালবাহানা করতে থাকেন। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ধর্ষিতার বাবা কামাল শরিফ বাদী হয়ে গুইমারা থানায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
গুইমারা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাহাদাত হোসেন টিটু জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯এর ১/৩০ ধারা মতে দায়েরকৃত মামলাটি আমলে নিয়ে প্রথম অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পলাতক অপর আসামি মফিজুল ইসলামকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে মফিজুল ইসলাম টেলিফোনে জানান, ধর্ষিতা এবং ধর্ষণকারী উভয়ের পিতা প্রতিবন্ধী হওয়ায় আমি বিষয়টি সামাজিক ভাবে নিষ্পত্তি করতে চেয়েছিলাম।
গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ সাহাদাত হোসেন টিটু বলেন, এমন বিষয় আছে যেগুলো থানা অবগত ছাড়া সামাজিক ভাবে নিষ্পত্তি করা আইন অনুযায়ী অপরাধ। মফিজুল ইসলাম ধর্ষণের আলামত নষ্ট করার জন্য, বিবাদীকে সহযোগিতা মূলক বিষয়টিকে কালক্ষেপন করেছেন থানাকে না জানিয়ে। এজন্য তার বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন