চুক্তির ফলে গতি এসেছে অর্থনীতিতে

NewsDetails_01

cht-7শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পর সরকার থেকে ঘোষণা করা হয়েছিলো চুক্তির ফলে পাহাড়ের মানুষ শান্তির সুবাতাস পাবে। পাহাড়ে অর্থনৈতিক ধারা উন্মোচিত হবে। গত সতের বছরে তেমনটা দেখা গেছে পাহাড়ে। চুক্তির আগে সুন্দরী রাঙামাটি দর্শনে যেখানে পর্যটকরা ভয় পেতো সেখানে এখন পর্যটকরা নির্দ্বিধায় পাহাড়ে বেড়াতে আসছেন। আগে যোগাযোগ অসুবিধার কারণে ব্যবসা বাণিজ্যে তেমন একটা গতি না থাকলেও এখন সে গতি কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

কাপ্তাই হ্রদে শান্তিু চুক্তির পূর্বে যেখানে সেখানে মাছ ধরতে না পারলেও এখন জেলেরা পাহাড়ের সব জায়গায় নিজ ইচ্ছামত মাছ শিকার করতে পারে। চুক্তির পর কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার কয়েক গুণ বেড়ে যায়। অর্থনীতিতেও এখন কাপ্তাই হ্রদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। চুক্তির পূর্বে সরকার এই হ্রদ থেকে এক কোটি টাকা রাজস্ব না পেলেও এখন এই হ্রদ থেকে সরকার প্রতিবছর প্রায় দশ কোটি টাকার মতো রাজস্ব আদায় করছে। রাঙামাটির কয়েক হাজার পরিবার এখন কাপ্তাই হ্রদের ওপর নির্ভরশীল।

NewsDetails_03

পাহাড়ের জুম চাষ এখন আগের মতো অত না থাকলেও জুমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। জুমের ফসল আগে বাজারে নিয়ে যেতে বিভিন্ন বিড়ম্বনার শিকার হলেও বর্তমানে সে বিড়ম্বনা অনেকটা লাঘব হয়েছে। সেনাবাহিনী তল্লাশির কারণে তখন জুমের ফসল বেশিরভাগই পথে নষ্ট হয়ে যেতো। কিন্তু বর্তমানে সে তল্লাশি তেমন একটা নাই বিধায় জুমের ফসল বাজারে অনায়সে বিক্রি করতে পারছে।

চুক্তির পর যে খাতটি সবচে বেশি উন্নতি লাভ করেছে তা হচ্ছে কাঠ ব্যবসা। চুক্তির পর এ অঞ্চলে কাঠ ব্যবসা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাহাড়ের ভেতরে আগে গাছের বাগান ক্রয় না করলেও এখন হরহামেশায় ব্যবসায়ীরা বাগান ক্রয় করছে। এতে বাগানিরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। প্রতিটি ধাপে অর্থনৈতিক উন্নতির কারণে পাহাড়ের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

তিন পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজ বেগম চিনু বলেন, চুক্তির আগে পার্বত্যাঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা ছিলো। সাধারণ লোকজন অবাধে চলাফেরা করতে পারতো না। দুপুর তিনটার পর রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যেতো। কিন্তু এখন আর সে দিন নেই। এখন মানুষ স্বাধীনভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। যোগাযোগ বৃদ্ধির ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যেও গতি এসেছে।

আরও পড়ুন