স্বাধীনতার ঘোষণাকে এবার যদি কেউ বিকৃতি করে তারা নিলর্জ্জই থেকে যাবে: দীপংকর তালুকদার

NewsDetails_01

রাঙামাটি জেলা প্রশাসন আয়োজিত র‌্যালীতে সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদারসহ অন্যরা
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সনের ৭মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ছিল মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা। সেদিন তার ভাষণ শোনার জন্য ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে লক্ষ লক্ষ মুক্তিকামী জনতা উপস্থিত হয়েছিল। জাতির জনকের ভাষণের “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, যার যা কিছু আছে তা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়, রক্ত যখন দিয়েছে রক্ত আরো দেব” এসব বক্তব্যে সেদিন উপস্থিত জনতাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে উজ্জীবিত করেছিল। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭মার্চের ভাষণের পর এদেশের মুক্তিকামী মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়াল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ করায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসন আয়োজিত র‌্যালী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার।
তিনি আরো বলেন,৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। এখানে পরিষ্কার ভাবে বলা হয়েছে, স্বাধীন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা সমস্ত কিছুর নির্দেশ ছিলো বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে। ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেওয়ার পরও স্বাধীনতার ঘোষণাকে নিয়ে কেউ যদি বিকৃতি করে তাহলে আমরা বলবো, তারা শুধরাবে না, নিলর্জ্জই থেকে যাবে।
তিনি আরো বলেন, এরা ১৯৯৭ সনে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের সময় বলেছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ফেণী পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে, কই ভারত হয়ে গেছে? এরা সবকিছুতে বিরোধীতা করে। দেশে যত অর্জন হয়েছে সব আওয়ামীলীগ সরকারের আমলেই হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরের বঙ্গবন্ধুর মুরাল চত্ত্বর হতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম শফি কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। এ ছাড়া সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু এমপি, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, রাঙামাটি সদর জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল রেদোয়ানুল হক পিএসসি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমাসহ বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন।

আরও পড়ুন