পাহাড়ের গ্রামীণ এলাকায় এখনো শিক্ষার মান বাড়ছেনা : বৃষ কেতু চাকমা

NewsDetails_01

বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাঝে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা
রাঙামাটি ও কাপ্তাইয়ের শহর এলাকা ছাড়া পাহাড়ের গ্রামীণ এলাকায় এখনো শিক্ষার মান বাড়ছেনা, বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনিষ্টিটিউটে পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রবর্তিত ৭ম শ্রেণীর মাধ্যমিক শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্টানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কাপ্তাই নৌবাহিনীর কমান্ডার রহুল আমিন সরকার, জেলা পরিষদ সদস্য ও শিক্ষা বিষয়ক আহব্বায়ক অংশুই প্রু চৌধুরী, পরিষদের সদস্য হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, সদস্য ত্রিদীব কান্তি দাশ, সদস্য মনোয়ারা আক্তার জাহান, পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা।
তিনি আরো বলেন, পাহাড়ের প্রত্যন্ত এলাকার স্কুলগুলোতে শিক্ষার মান না বাড়ায় শিক্ষার উন্নয়নে জেলা পরিষদের নেয়া পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে বসেছে। রাঙামাটি জেলা পরিষদ শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রেখে সর্বাত্বক চেষ্টা চালালেও মেধা যাচাইয়ের পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে আশানুরূপ মেধা সম্পন্ন শিক্ষার্থী পাওয়া যাচ্ছেনা।
পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আরো বলেন, মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থী না পাওয়ার কারণে এ বছর থেকে বৃত্তি পরীক্ষা চালু রাখা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ২০১৭ সালের ৭ম শ্রেণী বৃত্তি পরীক্ষা আদৌ হবে কিনা তা চলতি বছরের নভেম্বরের মধ্যে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান বলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীতে শিক্ষাবৃত্তি চালু করায় এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হচ্ছে। রাঙামাটি পার্বত্য জেলার মাধ্যমিক স্তরে জেএসসি ও পরবর্র্তী পাবলিক পরীক্ষায় গুণগত মান অর্জনের ক্ষেত্রে এ বৃত্তি পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের সহায়ক হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় বেশী করে মনোনিবেশ করাতে এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধিতে শিক্ষক অভিভাবকদের ভূমিকা রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রবর্তিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০১৬ সালের৭ম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১শত ৫১জন শিক্ষার্থীদের মেধাভিত্তিক শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে জেলা পরিষদ প্রতি বছর মাধ্যমিক পর্যায়ে এ বৃত্তি দিয়ে আসছে।
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির টাকা ও সম্মাননা ক্রেস্ট এবং সনদপত্র তুলে দেন। বৃত্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে অনন্য মেধায় ১জনকে ৬হাজার টাকা, ট্যালেন্টপুলে ৫০জনকে ৪হাজার টাকা এবং ১শত জন শিক্ষার্থীকে সাধারণ গ্রেডে ৩হাজার টাকা করে মোট ৫লক্ষ ৬হাজার টাকার শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।

আরও পড়ুন