রাঙামাটি শহরে কাপ্তাই লেকে ভবন ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাড়িয়েছে। আর এ ঘটনায় আরো নিখোঁজ আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার বিকেল সোয়া পাঁচটায় শহরে কাপ্তাই লেক ঘেসে গড়ে তোলা একটি দোতলা ভবন সরাসরি পানিতে হেলে পড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন পিংকি ,মোহাম্মদ জাহিদ, উম্মে হাবিবা রুনা আক্তার, সাজিদুল এবং সামিদুল। আজ সকালে সামিদুলের লাশ উদ্ধার করা হয়, রুনা রাঙামাটি সরকারী কলেজের অর্নাসের শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,মঙ্গলবার বিকেল সোয়া পাঁচটায় কাপ্তাই লেকে ঘেসে গড়ে উঠা ভবনটি ৭-৮ মিনিটের মধ্যে পুরাই ডেবে যায়, ডেবে যাওয়ার সময় কেউ বের হতে পেরেছে কিনা নিশ্চিত করা যায়নি। ভবনে ৪ টি পরিবার বসবাস করে। এই ঘটনার সাথে সাথে স্থানীয়রা প্রথম দিকে উদ্ধার কাজ চালালেও পরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক, দমকল বাহিনী, পুলিশসহ প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থল ঘিরে উদ্ধার তৎপরতায় অংশগ্রহন করে, পরে নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী সদস্যরা যোগ দেয়। তবে রাতের অন্ধকার হওয়ার কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যহত হচ্ছিলো, সকাল ফের পুরোদমে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়। ঘটনার পর থেকে একে একে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করা হচ্ছে। শহরের রিজার্ভ বাজারস্থ সরকারি মহিলা কলেজ এলাকায় অবস্থিত এই ভবনটির মালিক ঠিকাদার নাঈম উদ্দিন টিটু।
পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোয়াজ্জেম হোসাইনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, রাঙামাটি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুকমল চাকমা,পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুল্লাহ। এ ঘটনায় মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এবং ভবন ও ভূমির আদ্যপান্ত খতিয়ে দেখে যত দ্রুত সম্ভব প্রতিবেদন তৈরি করে জমা দিবে এই কমিটি। জেলা প্রশাসন থেকে করুণ মৃত্যুর শিকার এই পরিবারগুলোকে তাৎক্ষনিকভাবে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
রাঙামাটি জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা বিশ্ব নাথ মজুমদার জানায়, মঙ্গলবার রাতে নিহত চারজনের পরিবারকে প্রতিজনের জন্য ২০ হাজার টাকার করে নগদ সহায়তা এবং পরিবার প্রতি ৩০ কেজি করে খাদ্যশস্য বরাদ্দ প্রদান করা হয়। ভবনের মালিক নঈম উদ্দীন টিটুর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।