কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সম্পাদক হচ্ছেন বীর বাহাদুর !

NewsDetails_01

পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২২/২৩ অক্টোবর। এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ গঠন করা হয়। সাধারণত সম্মেলন মানে নতুন কমিটি, নতুন নেতা নির্বাচন। তবে এবার অধিকাংশ পুরনো নেতৃত্বই থাকবে নতুন কার্যনির্বাহী সংসদে। তবে সেই হিসাবে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি সন্মেলনের নতুন কমিঠিতে যুগ্ন সাধারণ সম্পাদকের পদ পাচ্ছেন এমন আভাস রাজনৈতিক মহলে।
আওয়ামীলীগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ পরবর্তী দেশের নাজুক অবস্থায় বীর বাহাদুর দলকে সু-সংগঠিত করেন। তিনবার দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকালে ১১ বছরের সময় কালে তিনি চট্টগ্রামের ১৩টি সাংগঠনিক জেলার প্রত্যান্ত এলাকায় চষে বেড়ান। দলের কঠিন সময়ে তিনি নির্যাতিত নেতাকর্মীদের সু-সংগঠিত করেন। চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলায় বছরের পর বছর সন্মেলন না হলেও বীর বাহাদুরের সাংগঠনিক দক্ষতায় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়,যার ফলে দল হয় চাঙ্গা। তাই স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনে করে দলের দূর্দিনে পাশে পাওয়া বীর বাহাদুরকে মূল্যায়ন করা হলে দল আগামীতে আরো এগিয়ে যাবে।
এই ব্যাপারে বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসলাম বেবী পাহাড়বার্তাকে বলেন,“নেত্রীর কাছে আমাদের কিছু চাইতে হয়না, তিনি নিজ থেকে আমাদের দেন, আশাকরি তিনি আমাদের জন প্রত্যাশা পূরন করবেন”।
আরো জানা গেছে, তিন পার্বত্য জেলাসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলায় তার সাংগঠনিক তৎপরতার কারনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পাশাপাশি সিটি করর্পোরেশন, উপজেলা ও পৌরসভা নির্বাচনে একের পর এক সফলতা আসে, যা রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দেয়।
বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর পাহাড়বার্তাকে বলেন,“পার্বত্য জেলাসহ চট্টগ্রাম বিভাগীয়বাসীর দাবি অনুসারে বীর বাহাদুরকে তার সাংগঠনিক দক্ষতার কারনে নেত্রী যথাযথ মূল্যায়ন করবে এমন প্রত্যাশা করছি”।
দলটির সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সন্মেলনকে সামনে রেখে “উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার, এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার” এই স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে। খুব বেশি হেরফের হচ্ছে না আওয়ামী লীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ। আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তারা বলেন, ‘কমিটির আকার বাড়ার একটি সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে কিছু নতুন মুখ আসতে পারে।
দলটির নীতি-নির্ধারকরা জানান, ‘বর্তমান কমিটিতে কয়েকটি শূন্য পদ সৃষ্টি হয়েছে। এ পদে কাউকে টানা হতে পারে, আবার কিছু নতুন পদ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে কিছু নতুন মুখ আসতে পারে। এছাড়া বর্তমানে কমিটিতে রয়েছেন, এমন নেতাদের বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। হয়ত কেউ প্রমোশন পাবেন আবার কারও ডিমোশন হবে।’ শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতা বলেন, ‘সম্মেলনের ভেতর দিয়ে নতুন কমিটি হবে ঠিকই, কিন্তু পুরনো নেতারাই বেশির ভাগ থাকবেন।
কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি পাহাড়বার্তাকে বলেন,“মাননীয় সভানেত্রী যখন যে দায়িত্ব প্রদান করবে, আমি সেই দায়িত্ব পালন করে যাবো”।
তবে স্থানীয়রা মনে করেন, বান্দরবান ৩০০ নং আসন থেকে টানা ৫বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর শুধু দলের মধ্যে নয়, বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরে ক্লিন ইমেজের রাজনৈতিক নেতা হিসাবে বেশ পরিচিত। তাই দলের সংগঠনিক পরিধি বাড়ানোর কাজে বীর বাহাদুরকে যথাযথ স্থানে দায়িত্ব প্রদান করে দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ দিবেন নেত্রী।

NewsDetails_03

পাহাড়বার্তায় আরো পড়ুন █► এক নজরে বীর বাহাদুরের বর্ণাঢ্য জীবন

আরও পড়ুন