রাঙ্গুনিয়া থানা সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের বড়ুয়া পাড়ার শ্বশুরবাড়িতে স্বামী নান্নু বড়ুয়া (রিন্টু) তাকে হত্যা করে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর এই ঘটনায় সেনা সদস্য স্বামী নান্নু বড়ুয়াকে গ্রেফতার করে সোমবার দুপুর থেকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্ত্রী রুমি হত্যাকান্ডের ব্যাপারে স্বামী নান্নু বড়ুয়া এখনও হত্যার দায় স্বীকার করেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,রবিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের বড়ুয়া পাড়ায় হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। নান্নু বড়ুয়া স্ত্রী রুমি বড়ুয়াকে নিয়ে গত রবিবার বিকালে বাড়িতে আসেন। রাত ১২টার দিকে রুমি বড়ুয়াকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। পরে নান্নু বড়ুয়ার চিৎকারে আশপাশের মানুষ ঘটনাস্থলে গিয়ে রুমি বড়ুয়ার গলাকাটা লাশ দেখতে পায়। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে স্বামী নান্নু বড়ুয়া স্ত্রী রুমি বড়ুয়াকে গলা কেটে হত্যা করে।
এদিকে রাত ২টায় রাঙ্গুনিয়া থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে রুমি বড়ুয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত্রের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এই ঘটনার পর চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা আজ সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ মো. আহসানুল কাদের ভুঁইয়া বলেন, এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্বামী নান্নু বড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের পর বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে।
রুমি বড়ুয়া বান্দরবান সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক, ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতা দীপ্তি কুমার বড়ুয়ার কন্যা, রুমি বান্দরবান কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন। এই শিক্ষিকার মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের ঘটনায় বান্দরবানে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রসঙ্গত, শিক্ষিকা রুমি বড়ুয়ার মরদেহ চট্টগ্রামের পটিয়ার উনুন পুরা গ্রামে শেষকৃত্য অনুষ্টান সম্পন্ন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
