লামায় দেওয়ানী সিনিয়র সহকারী জর্জ আদালত প্রতিষ্ঠার দাবি

NewsDetails_01

বান্দরবানের লামা (ফাইল ছবি)
বান্দরবান জেলার সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ সাবেক লামা মহকুমা সদরে চলমান সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের পাশাপাশি দেওয়ানী সিনিয়র সহকারী জজ আদালত জনস্বার্থে প্রতিষ্ঠার দাবী জানিয়ে আবেদন করেছে লামা উন্নয়ন ও জেলা বাস্তবায়ন কমিটি। অবহেলিত দূর্গম পাহাড়ি জনগনের ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তিসহ ন্যায় বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইলের পর এবার লামা উন্নয়ন ও জেলা বাস্তবায়ন কমিটি সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে এ আবেদন করে।
সূত্র জানায়, ১৯৭৯ সালে লামা- আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাকে নিয়ে তৎকালীন সরকার লামা মহকুমা প্রতিষ্ঠিত করে। ১৯৮৩-৮৪ সালে এরশাদ সরকারের শাসনামলে প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণের আওতায় দেশের সকল থানাকে মান উন্নীত করে উপজেলা ও সকল মহকুমাকে বিলুপ্ত করে জেলায় উন্নিত করার ঘোষণায় ও সরকারী গেজেট নোটিফিকেশনে লামা মহকুমা জেলায় উন্নিত করা হয়েছে মর্মে ঘোষণা ছিল। কিন্তু একটি প্রভাবশালী মহলের ষড়যন্ত্রে ও বিরোধীতার কারণে অদ্যাবধি লামা মহকুমা জেলায় রুপান্তরিত না হয়ে স্থগিত হয়ে যায়। বর্তমানে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে লামাকে জেলা ঘোষণার দাবীতে ফুঁসে ওঠেছে উপজেলাবাসী।
লামা উন্নয়ন ও জেলা বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান এম.রুহুল আমিন বলেন, জেলার প্রায় অর্ধেকের বেশি লোকের বসবাস লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায়। বর্তমানে লামা উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় দুই লাখ। এ উপজেলায় ফৌজদারী মামলা সমূহ নিষ্পত্তির জন্য সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত চালু থাকায় বিচার প্রার্থী পাহাড়ি সকল জনগণ; এর সুফল ভোগ করছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় লামা থেকে ১০০ কিলোমিটার, আলীকদম থেকে ১২৩ কিলোমিটার ও নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে দেড়শ কিলোমিটার দূরে বান্দরবান জেলা সদরে গিয়ে প্রতিদিন শতাধিক বিচার প্রার্থী ও সংশ্লিষ্ট লোককে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ এবং বিজ্ঞ যুগ্ন জেলা জজসহ অন্যান্য আদালতে মামলা মোকাদ্দমা পরিচালনা করতে হয়। এতে দরিদ্র জনগনের সময় অপচয়সহ নানা ভোগান্তির সহ্য করে সড়ক পথে নিরাপত্তাহীনতার মাঝে নানাবিধ ক্ষতি সাধনে সম্মূখিন হচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রে আর্থিক অভাব অনটন ও দারিদ্রতার কারণে মামলা পরিচালনা করতে না পেরে পাহাড়িরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে দিন দিন ভূমি বিরোধ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হয়ে থাকে। তাই অবিলম্বে লামা উপজেলা সদরে ফৌজদারী আদালতের পাশাপাশি দেওয়ানী সহকারী জজ আদালত চালুর জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
উপজেলায় দেওয়ানী সিনিয়র সহকারী জর্জ আদালত প্রতিষ্ঠার দাবী জানিয়ে লামা উন্নয়ন ও জেলা বাস্তবায়ন কমিটি কর্তৃক আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে আবেদন প্রেরণের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিনের এ দাবী বাস্তবায়ন হলে লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

আরও পড়ুন