লামায় অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংস্কারের উদ্যোগ নেই

NewsDetails_01

লামায় ঘুর্ণিঝড় মোরা’র তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র তান্ডবে বান্দরবানের লামা উপজেলায় অন্তত অর্ধশত সরকারী- বেসরকারী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু ২৭ দিন পেরিয়ে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়গুলো সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আসবাবপত্রসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। অথচ আর মাত্র তিনদিন পর ১ জুলাই পাঠদান শুরুর কথা রয়েছে ওইসব বিদ্যালয়গুলোতে। দ্রুত সংস্কার করা না হলে বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান সম্ভব হবেনা বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যরা। তারা দ্রুত বিদ্যালয়গুলো সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন।
সরই ইউনিয়নের কম্পোনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ওয়াজকুরুনী বলেন, মোরা’র তান্ডবে স্কুলের টিনের ছাউনী সম্পূর্ণ উড়ে গেছে। রমজানের ছুটির পরে বিদ্যালয়ে পাঠদান করানো সম্ভব হবেনা।
সূত্র জানায়,জেলার লামা উপজেলায় ৮৬টি প্রাথমিক, ১৫টি মাধ্যমিক স্কুল, ৪টি কলেজ ও ৪টি মাদ্রাসা রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি পাড়া কেন্দ্র। গত ৩০ মে ঘুর্ণিঝড় মোরা’র তান্ডবে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রায় ৫০টির ছাউনি উড়ে যায়। এর মধ্যে ১০টি মাধ্যমিক, ৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১০টির মত পাড়া কেন্দ্র আংশিক ও সম্পুর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় বৃষ্টির পানি পড়ে বিদ্যালয়ের আসবাবপত্রসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
একই কথা জানালেন, মিরিঞ্জা বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। তিনি বলেন, স্কুলের পাকা ও কাচাঁ ২টি ভবন বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। দ্রুত মেরামত না করা গেলে ঈদের বন্ধের পর বিদ্যালয়ে পাঠদান সম্ভব হবেনা।
লামা উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা যতীন্দ্র মোহন মন্ডল জানায়, ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা করা হয়েছে। দ্রুত মেরামত ও নির্মাণে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া বলেন, ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা লিখিত ও মৌখিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে অবহিত করার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন