রুমায় বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল স্কুল ছাত্রী

NewsDetails_01

অভিভাবকের জোর করে বিয়ের আয়োজন করলেও বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেল এক স্কুল ছাত্রী। বান্দরবানের রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনায় ওই ছাত্রীর বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দিয়েছেন রুমা সদর ইউপি চেয়ারম্যান শৈমং মারমা।
সূত্র জানায় বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রুমা সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল সোবহান তার ১৩বছর বয়সী ও ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় বড়ইতলি ইউনিয়নের মুসন্নিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ জাফর আহমেদের ছেলে সোহেল উদ্দিন(২৩)এর সাখে বিয়ের প্রস্ততি চলে। রাত সাড়ে ৮টার নাগাদ রুমা সদর ইউপি চেয়ারম্যান শৈমং মারমা ও থানার এসআই আবুল হোসেন বিয়ে আসরে হাজির হন। অপ্রাপ্ত বয়সে প্রচলিত আইনে বিধিনিষেধ ও বিয়ে কুফল সম্পর্কে অভিভাবকদের জানিয়ে বাল্য বিবাহ বন্ধ করা হয়।
সদর ইউপি চেয়ারম্যান শৈমং মারমা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এক স্কুল ছাত্রীর বাল্য বিবাহ অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা জানিয়ে তাঁকে মুসলিম পাড়া ডেকে পাঠান। তারপর আমি পুলিশ নিয়ে সেখানে রাত সাড়ে আটটায় পৌছি। মেয়েটি যে নাবালিকা এটা শতভাগ সত্য এবং বিয়ের আয়োজক উভয় পক্ষের মুচলেকা নিয়ে প্রথমবারের মতো বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, অভিভাবক জোর করে তাঁর মেয়েকে বিয়ে দিতে চাচ্ছেন, এমন কথা ওই স্কুল ছাত্রী তাঁকে বলেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শরিফুল হক জানান, সোর্সের মাধ্যমে বাল্য বিবাহ অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা জানার পর সদর ইউপি চেয়ারম্যান, থানার অফিসার ইনচার্জ ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। দরিদ্র-গরিব অভিভাবকের উভয় পক্ষ থেকে সাবালক-বালিকা হবার আগে কোনো বিয়ে দেবেননা। এই মুচলেকা নিয়ে জেল-জরিমানা ছাড়াই প্রথমবার হিসেবে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এদিকে বাল্য বিবাহের আসর প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেয়ার ঘটনা বান্দরবানের রুমা উপজেলায় এটি প্রথম। এনিয়ে এলাকার স্থানীয় লোকজনের কাছে আলোচনার ঝড় ওঠেছে।

আরও পড়ুন