চার দিনের টানা বর্ষণে বান্দরবানের রুমা উপজেলার সড়ক পথের দলিয়ান পাড়া এলাকায় গত রোববার সড়কের উপর পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়ে নিখোঁজ ৪জন জনের একজন মুন্নি বড়ুয়া। বান্দরবান শহরে মধ্যমপাড়ায় বেড়ে উঠা মুন্নি বড়ুয়ার একমাত্র কণ্যা সন্তান জেসিকা বড়ুয়া। আজ বিকালে অশ্রু সিক্ত নয়নে মাকে শেষ বিদায় জানান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবান কেন্দ্রিয় বৌদ্ধ শ্মশানে আজ বিকালে মুন্নি বড়ুয়ার শেষকৃত্যনুষ্ঠান সম্পর্ন হয়। এ সময় জেলা শহরের শত শত নারী পুরুষ বৌদ্ধ শ্মশানে উপস্থিত হন শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। দুপুর আড়ায়টা বাজে লাশবাহী গাড়ি বৌদ্ধ শ্মশানে প্রবেশ করলে মুন্নি বড়ুয়ার একমাত্র কন্যা জেসিকা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। মুন্নির স্বজনদের পাশাপাশি সহকর্মীরা জেসিকাকে সান্তনা প্রদান করলেও তার আহাজারি কোন ভাবেই থামছেনা।
শেষকৃত্যনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপির সহধর্মীনি মেহ্লা প্রু, পৌর মেয়র ইসলাম বেবী, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য, ক্যা সা প্রু, লক্ষীপদ দাশ, মোজাম্মেল হক বাহাদুর, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। বান্দরবানের একটি স্কুলের ৪র্থ শ্রেণীতে অধ্যায়নরত জেসিকাকে গত রোববার সকালে বাসায় ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে রুমার নিজ কর্মস্থলে যোগ দিতে যাওয়ার সময় এই দূর্ঘটনার শিকার হন মুন্নি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সাঙ্গুনদীতে ভাসমান অবস্থায় থাকা মুন্নির লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে। মুন্নির লাশ বান্দরবানের সাঙ্গু নদী দিয়ে ভেসে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সাঙ্গু নদীতে চলে যায়। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী হিসাবে জেলার রুমা উপজেলায় কর্মরত ছিলেন মুন্নি বড়ুয়া।
প্রসঙ্গত,পাহাড় ধসের ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছে সিংমেচিং, কৃষি ব্যাংক রুমা শাখার কর্মকর্তা গৌতম কুমার নন্দী ও রুমা ডাকঘরের পোষ্ট মাষ্টার রবিউল।