বান্দরবানে আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসবের ২য় দিনে বৌদ্ধমূর্তি স্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে শুক্রবার বিকালে শহরের রাজগুরু বৌদ্ধ বিহার থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে উজানী পাড়াস্থ সাঙ্গু নদীর পাড়ে বৌদ্ধ মূর্তি স্নান উৎসবে মিলিত হয়।
এসময় পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক,পুলিশ সুপার সঞ্চিত কুমার রায় বৌদ্ধ অনুসারী নেতাসহ স্থানীয়রা বৌদ্ধঅনুসারীরা মূর্তিতে পবিত্র জল ঢেলে স্নান করান। এসময় বিশেষ প্রার্থনায় ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন উ চ হ্লা ভান্তে। শুক্রবার রাতে শহরের অলি গলিতে পিঠা উৎসবে মেতে উঠবে জেলার মারমা সম্প্রদায়। শনিবার সন্ধ্যায় মারমা আদিবাসীদের বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠেী গান পরিবেশন করে উৎসব অঙ্গনকে মাতিয়ে রাখবে। রাতভর চলবে আদিবাসীদের ঘরে ঘরে পিঠা তৈরীর কাজ। তারা একে অন্যেও বাসায় গিয়ে পিঠা তৈরী করে।
শনিবার জেলা জুঁড়ে জলকেলিতে মেতে থাকবে তরুন তরুনীরা। পুরাতন বছরকে পেছনে ফেলে আসে নতুন বছর, আর নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পাহাড়ের আদিবাসী পল্লীর মারমা আদিবাসীরা আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠে সাংগ্রাই উৎসবকে কেন্দ্র করে।
পাহাড়ের আদিবাসীরা ভিন্ন ভিন্ন নামে বর্ষবরণের এই উৎসব পালন করে থাকে। ত্রিপুরাদের বৈসুর (বৈ), মারমাদের সাংগ্রায়ের (সা) চাকমাদের বিঝুর (বি) থেকে বৈসাবি হলেও বান্দরবানের মারমারা বর্ষবরণের এই উৎসবকে সাংগ্রাই বলে থাকে। এই উৎসব দেখতে প্রতিবছরের মতো এবারও বান্দরবানে দেশি বিদেশী পর্যটকদেও ভীর পরিলক্ষিত হয়।
প্রসঙ্গত, শনিবার ও রোববার বিকালে জলকেলী আর রাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বান্দরবান জেলা শহরে এই উৎসবের ইতি টানা হবে, তবে জেলার উপজেলাগুলোতে ১৭ এপ্রিল শেষ হবে মারমাদের বর্ষবরণের সাংগ্রাই অনুষ্ঠান।