বান্দরবানে পৌর ছাত্রলীগের উদ্দ্যোগে ৬৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

NewsDetails_01

বান্দরবানে পৌর ছাত্রলীগের উদ্দ্যোগে ৬৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
বান্দরবানে পৌর ছাত্রলীগের উদ্দ্যোগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। বুধবার বিকালে বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে পৌর ছাত্রলীগের সদস্য সচিব কাজী আশরাফ হোসেন আশু এর সঞ্চালনায় পৌর ছাত্রলীগের আহবায়ক মো. ইসমাইলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী,পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ,সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর,পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সামশুল ইসলাম,সাবেক ছাত্রনেতা মো. সেলিম রেজা,জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাউছার সোহাগ,সহ সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন,সাধারণ সম্পাদক জনি সুশীল,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিন বাহাদুরসহ জেলা,পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। বাংলার স্বাধীনতা ও বাঙালির স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে মূল দল আওয়ামী লীগের জন্মের এক বছর আগেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল গৌরব ও ঐতিহ্যের এ ছাত্র সংগঠন।
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। তার নেতৃত্বেই ওই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা শুরু হয়। গত ৬৯ বছরে ছাত্রলীগের ইতিহাস হচ্ছে জাতির ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা, মুক্তির স্বপ্ন বাস্তবায়ন, স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনা, গণতন্ত্র ও প্রগতির সংগ্রামকে বাস্তবে রূপদানের ইতিহাস।
বান্দরবানে পৌর ছাত্রলীগের উদ্দ্যোগে ৬৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
তারা আরো বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল সংগ্রামে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়েছে এবং চরম আত্মত্যাগের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। ১৯৪৯ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল হিসাবে ‘আওয়ামী মুসলিম লীগে’র অত্মপ্রকাশ ঘটে, যা পরে আওয়ামী লীগ নাম ধারণ করে এ দেশের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়।
এ প্রেক্ষাপটে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বাঙালি জাতির ইতিহাসে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে বাঙালির ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা, ৫৪’র সাধারণ নির্বাচনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ পরিশ্রমে যুক্ত ফ্রন্টের বিজয়, ৫৮’র আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলনে ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা, ৬৬’র ৬ দফা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া, ৬ দফাকে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ হিসাবে প্রতিষ্ঠা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে পাক শাসককে পদত্যাগে বাধ্য এবং বন্দী দশা থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করা, ৭০’র নির্বাচনে ছাত্রলীগের অভূতপূর্ব ভূমিকা পালন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে ছাত্রলীগের অংশগ্রহণ, স্বাধীনতা পরবর্তী সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণসহ প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগের অসামান্য অবদান দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আলোচনা সভা শেষে অতিথিরা কেক কাটার মধ্যদিয়ে ৬৯ প্রতিষ্ঠতা বার্ষিকী পালন করেন।

আরও পড়ুন