বান্দরবানে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ

NewsDetails_01

বান্দরবানে অবৈধ ভাবে উত্তোলন করা পাথর
বান্দরবান পার্বত্য জেলার ৭টি উপজেলার ঝিড়ি ঝর্ণা থেকে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন করার কারনে রোববার অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসন মিলনায়তনে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। সভায় রুমা উপজেলার রুমা ঝিড়ি এবং লামা ও থানচি উপজেলায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক।
এছাড়াও জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ত ও ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে মাদকদ্রব্য প্রবেশ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়। এসময় পর্যটন নগরী হিসেবে বান্দরবানকে গড়ে তোলার জন্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য পৌরসভাকে অনুরোধ জানানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার সদরের টংকাবতি, রোয়াংছড়ির নোয়াপতং, লামা উপজেলার লাইনঝিরি, কাঁকড়া ঝিরি,হরিণ ঝিরি, টাকের পানছড়ি মৌজা, শীলের তোয়া, কাঁঠালছড়া, নন্দির বিল, ফাঁসিয়াখালী, রুমা, থানচি, আলীকদম উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ঝিড়ি ও পাহাড় খুঁড়ে বারুদের বিষ্ফোরন ঘটিয়ে পাথর উত্তোলন করছে পাচারকারীরা। দীর্ঘদিন ধরে অবাধে পাথর উত্তোলন করার ফলে শুকিয়ে যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন উপজেলার পাহাড়ি-ঝিড়ি ও ঝর্না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জেলা সদরের টংকাবতী ইউনিয়নে মকবুল উকিল, মোঃ কালু মেম্বার, আবদুর রহিম, রোয়াংছড়ি উপজেলায় আবুল বশর ড্রাইভার, থানচি উপজেলায় মং থোয়াই ম্যা রনি, আলীকদম উপজেলায় মোঃ আবুল কালাম বছরের পর বছর ধরে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন করছে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে গত কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রামের বাজালিয়া এলাকার জিয়া থানচির বিভিন্ন ঝিরি থেকে ভাসমান পাথর সংগ্রহের কথা বলে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন করছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, পৌর মেয়র ইসলাম বেবী, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন