বর্ণমালা পেলেই মাতৃভাষায় বই : প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর

NewsDetails_01

পাবর্ত্য জেলার অনেক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এখনও নিজস্ব বর্ণমালা নেই, তারা অনেকেই নিজ ভাষায় বর্ণমালা তৈরিতে উদ্যোগী হচ্ছেন। আর তাদের তৈরি করা বর্ণমালা পেলেই নিজস্ব ভাষায় পাঠ্যপুস্তক দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর।

রোববার সকালে বান্দরবান বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে তাদের নিজ ভাষার বই তুলে দেয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শুধু বই দিলে হবে না, সেই পরিমাণে পর্যাপ্ত শিক্ষক থাকতে হবে। আর যদি পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকে তাহলে জেলা পরিষদকে স্ব-উদ্যোগী হয়ে শিক্ষক বাড়াতে হবে।

পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার সভাপতিত্বে এসময় বই বিতরণী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ণিবান চাকমা, পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল আবছারসহ প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং ছাত্র-ছাত্রীসহ অভিভাবকরা।

NewsDetails_03

জানা গেছে, পার্বত্য শান্তিচুক্তিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা লাভের অধিকার দেয়ার কথা থাকলেও নানা কারণে গত দুই দশক তা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। তবে এবার প্রথমবারের মতো চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, ওঁরাও এবং গারো জনগোষ্ঠীর শিশুদের জন্য সরকার তাদের মাতৃভাষায় প্রস্তুত করেছে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের পাঠ্যবই ও শিক্ষা উপকরণ।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের তথ্যমতে, এবারে বান্দরবান জেলায় ১ হাজার ১২২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মারমা ভাষায় ৭শ ৫৯টি টিচার গাইড ও ৫টি এক্সারাইজ বুক, ২০টি জেলা বাফার সেম্পল এবং চাকমা ভাষায় ৭শ ৫৯টি টিচার গাইড ও ৫টি এক্সারাইজ বুক ও ১০টি জেলা বাফার সেম্পল বই বিতরণ করা হলেও ত্রিপুরা, গারো ও সার্দ্রি ভাষায় কোনো বই বিতরণ করা হয়নি।

এছাড়াও বান্দরবান জেলার ৫ হাজার ১শ ২১ জন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির শিক্ষার্থীদের জন্য বইয়ের চাহিদা দেয়া হলেও ১ হাজার ৫শ ৫৮টি বই এ পর্যন্ত পাওয়া গেছে।

আরো জানা গেছে, ২০১৮ সালে দেয়া হবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের প্রথম শ্রেণির পাঠ্যবই। এর পরের বছর ২০১৯ সালে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরও মাতৃভাষায় বই দেয়া হবে। এই সকল বই বিনামূল্যে পাবে শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন