নাইক্ষ্যংছড়ির গ্রামীন সড়কগুলোর বেহাল দশা

NewsDetails_01

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির গ্রামীন সড়ক
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সব কটি গ্রামীন সড়ক বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে, ফলে স্থানীয়রা চরম ভোন্তির মধ্যে যাতায়ত করছে সড়কগুলো দিয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান বর্ষা মৌসুম শেষের দিকে হলেও বিগত দিনের পাহাড়ী ঢল ও অতিবৃষ্টির ফলে সড়ক এখন আর সড়ক নেই। পরিণত হয়েছে পাহাড়ী ছোট ছোট ছড়ায়। অধিকাংশ গ্রামীন সড়কে এখন আর গাড়ী চলাচলের যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। রাস্তা গুলো কোথাও কোথাও আবার মৃত্যুকুপে পরিণত হয়েছে। উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ এবং ইউনিয়নের সাথে ওয়ার্ডের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বলে জানালেন সোনাইছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান বাহাইন মার্মা।
আরো জানা গেছে, উপজেলা সদর থেকে ঘুমধুম ইউনিয়নে দূরত্ব প্রায় ৬০ কি.মি। সোনাইছড়ি ১৫ কি.মি, দোছড়ি ১০ কি.মি., বাইশারী ৯ কি.মি। এছাড়া এক একটি ইউনিয়নে ওয়ার্ড থেকে পরিষদে দূরত্ব ৩০ কি.মিও রয়েছে। ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়নে যোগাযোগ এখন বড় কঠিন হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ সড়কে কিছু কিছু ইট বিছানো এবং কিছু রয়েছে কাঁচা রাস্তা। পাহাড়ী ঢল ও বন্যায় রাস্তা গুলো সর্বনাশ হয়ে গেছে।
এদিকে সোনাইছড়ি থেকে হেডম্যান পাড়া, লামার পাড়া, ঠাকুর পাড়া, হেডম্যান পাড়া, বটতলী পাড়া, সোনাইছড়ি-ঘুমধুম সড়ক মৃত্যুকোপে পরিণত। ঘুমধুম ইউনিয়ন সদর থেকে বাইশপাড়ি, তুমব্রু, ফাত্রাঝিরি, গর্জনবনিয়া, রেজু আমতলী সহ অনেক সড়কের সাথে ইউনিয়ন সদরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ।
দোছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ বলেন, কোন রকমে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করা গেলেও পাহাড়ী এলাকা হওয়ায় পানি এবং পাহাড়ের মাটিতে সমস্ত সড়ক নষ্ট হয়ে গেছে এবং খানা-খন্দে পরিণত হয়েছে।
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম কোম্পানী বলেন, তার ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ড কাগজীখোলা ইট বিছানো সড়কের ইটগুলো পর্যন্ত পানিতে ভেসে নিয়ে গেছে। তাছাড়া বক্স কালভার্ট গুলো পানির স্রোতে ভেঙ্গে গেছে। তিনি আরো বলেন, বাইশারী চাকপাড়া, করলিয়ামুরা, লম্বাবিল, পশ্চিম বাইশারী, দক্ষিণ বাইশারী, উত্তর বাইশারী, নারিচবুনিয়া-বাইশারী সড়ক সহ অসংখ্য সড়ক পানিতে ভেঙ্গে খানা-খন্দে পরিণত হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী বলেন, তার এলাকায় শুধু সড়ক নয়, বন্যা ও পাহাড়ী ঢলে পাঁচ শতাধিক বাড়ীঘরে ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইউনিয়নে চাকঢালা, ফুলতলী, আশারতলী, কম্বনিয়া, ছেরারকুল, জারুল্যাছড়ি, আদর্শগ্রাম সহ অনেকগুলো সড়ক নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেছেন বলে জানান।
এদিকে স্থানীয়রা দ্রুত সড়কগুলো চলাচলের উপযুক্ত করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উসৈশিং এমপির হস্পক্ষেপ কামনা করেন।

আরও পড়ুন